
হাদিসে লা ইলাহা ইল্লাহকে সর্বোত্তম জিকির বলা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন, রাসুল বলেছেন, লা ইলাহা ইল্লাহ সর্বোত্তম জিকির। (তিরমিজি, ইবনে মাজা)।
জান্নাতে প্রবেশের চাবি
রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাহ বলবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম শরীফ)।
হজরত আবু জর গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার নবী (সা.)-এর কাছে পৌঁছলাম। তিনি তখন একটি সাদা কাপড় পরিহিত অবস্থায় ঘুমিয়েছিলেন। আমি ফেরত চলে এলাম। এরপর আবার তার কাছে গেলাম। তখন তিনি জেগে ছিলেন।
তিনি আমাকে দেখে বললেন, যে ব্যক্তি অন্তরের সাথে ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ বলবে আর এ বিশ্বাসের উপর তার মৃত্যু হবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
আমি বললাম, সে চুরি ও ব্যভিচারের মতো বড় গুনাহ করে থাকে তবুও? তিনি বললেন, সে চুরি ও ব্যভিচার করলেও। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, চুরি ও ব্যভিচার করার পরও? তিনি বললেন, হ্যাঁ, চুরি ও ব্যভিচারের মতো গুনাহ করলেও। আবু জর-এর নাক ধূলায় মলিন হলেও। (বুখারি, মুসলিম)
মিজানের পাল্লা ভারি হবে
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর নবী নুহ (আ.) মৃত্যুর আগে তার ছেলেদের বলেছিলেন, আমি তোমাদের লা-ইলাহা ইল্লাহ পড়ার আদেশ দিচ্ছি। কারণ, যদি সাত আসমান ও সাত জমিন এক পাল্লায় রাখা হয় আর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহকে অপর পাল্লায় রাখা হয়, তবুও লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ তাদের বিপরীত নুয়ে পড়বে। আর যদি সাত আসমান এক বৃত্তে পরিণত হয় তবুও ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ তাকে হালকা করে দিবে। (ইবনে হিব্বান)
জাহান্নাম থেকে মুক্তি
রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ তার রাসুল, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন। (মুসলিম)।
পাপ মুছে দেয়
আনাস ইবন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, হে আদম সন্তান! তুমি যতদিন আমাকে ডাকতে থাকবে এবং আমার কাছে আশা করতে থাকবে তোমার পাপ যাই হোক না কেন আমি তা ক্ষমা করে দিব, এতে আমার কোন পরওয়া নেই। হে আদম সন্তান! তোমার পাপরাশি যদি আকাশের মেঘমালায়ও উপনীত হয়, এরপর তুমি যদি আমার কাছে ক্ষমা চাও, তবুও আমি সব ক্ষমা করে দিব, এতে আমার কোন পরওয়া নেই। হে আদম সন্তান! তুমি যদি জমিন পরিমাণ পাপরাশি নিয়েও আমার কাছে এসে উপস্থিত হও, আর আমার সঙ্গে যদি কিছুর শরীক না করে থাক, তবে আমি সেই পরিমাণ ক্ষমা ও মাগফিরাত তোমাকে দান করব। (তিরমিজি শরীফ)
মৃত্যুর সময় উপকার
হজরত বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যার শেষ কথা ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ হবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবু দাউদ)
লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ দিনে কতবার পড়বেন?
কালিমা বা লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যত বেশি সম্ভব পড়া যেতে পারে। তবে সকাল, সন্ধ্যা, প্রত্যেক নামাজের পর, ঘুমের সময়, কোনো বিষয়ে শঙ্কিত থাকলে, আল্লাহর কাছে কোনো কিছু প্রত্যাশার সময় লা-ইলাহা ইল্লাহ পড়া যেতে পারে।
জান্নাতে প্রবেশের চাবি
রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাহ বলবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম শরীফ)।
হজরত আবু জর গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার নবী (সা.)-এর কাছে পৌঁছলাম। তিনি তখন একটি সাদা কাপড় পরিহিত অবস্থায় ঘুমিয়েছিলেন। আমি ফেরত চলে এলাম। এরপর আবার তার কাছে গেলাম। তখন তিনি জেগে ছিলেন।
তিনি আমাকে দেখে বললেন, যে ব্যক্তি অন্তরের সাথে ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ বলবে আর এ বিশ্বাসের উপর তার মৃত্যু হবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
আমি বললাম, সে চুরি ও ব্যভিচারের মতো বড় গুনাহ করে থাকে তবুও? তিনি বললেন, সে চুরি ও ব্যভিচার করলেও। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, চুরি ও ব্যভিচার করার পরও? তিনি বললেন, হ্যাঁ, চুরি ও ব্যভিচারের মতো গুনাহ করলেও। আবু জর-এর নাক ধূলায় মলিন হলেও। (বুখারি, মুসলিম)
মিজানের পাল্লা ভারি হবে
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর নবী নুহ (আ.) মৃত্যুর আগে তার ছেলেদের বলেছিলেন, আমি তোমাদের লা-ইলাহা ইল্লাহ পড়ার আদেশ দিচ্ছি। কারণ, যদি সাত আসমান ও সাত জমিন এক পাল্লায় রাখা হয় আর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহকে অপর পাল্লায় রাখা হয়, তবুও লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ তাদের বিপরীত নুয়ে পড়বে। আর যদি সাত আসমান এক বৃত্তে পরিণত হয় তবুও ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ তাকে হালকা করে দিবে। (ইবনে হিব্বান)
জাহান্নাম থেকে মুক্তি
রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ তার রাসুল, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন। (মুসলিম)।
পাপ মুছে দেয়
আনাস ইবন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, হে আদম সন্তান! তুমি যতদিন আমাকে ডাকতে থাকবে এবং আমার কাছে আশা করতে থাকবে তোমার পাপ যাই হোক না কেন আমি তা ক্ষমা করে দিব, এতে আমার কোন পরওয়া নেই। হে আদম সন্তান! তোমার পাপরাশি যদি আকাশের মেঘমালায়ও উপনীত হয়, এরপর তুমি যদি আমার কাছে ক্ষমা চাও, তবুও আমি সব ক্ষমা করে দিব, এতে আমার কোন পরওয়া নেই। হে আদম সন্তান! তুমি যদি জমিন পরিমাণ পাপরাশি নিয়েও আমার কাছে এসে উপস্থিত হও, আর আমার সঙ্গে যদি কিছুর শরীক না করে থাক, তবে আমি সেই পরিমাণ ক্ষমা ও মাগফিরাত তোমাকে দান করব। (তিরমিজি শরীফ)
মৃত্যুর সময় উপকার
হজরত বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যার শেষ কথা ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ হবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবু দাউদ)
লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ দিনে কতবার পড়বেন?
কালিমা বা লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যত বেশি সম্ভব পড়া যেতে পারে। তবে সকাল, সন্ধ্যা, প্রত্যেক নামাজের পর, ঘুমের সময়, কোনো বিষয়ে শঙ্কিত থাকলে, আল্লাহর কাছে কোনো কিছু প্রত্যাশার সময় লা-ইলাহা ইল্লাহ পড়া যেতে পারে।