পরকীয়া সম্পর্ক ধরিয়ে দিয়েছিল পোষা তোতাপাখি; শ্রীঘরে স্বামী

আপলোড সময় : ১৪-০৮-২০২৫ ০৮:১৮:০৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৪-০৮-২০২৫ ০৮:১৮:০৯ অপরাহ্ন
কুয়েতের হাওয়ালি এলাকায় এক ব্যক্তির পরকীয়া সম্পর্ক প্রায় ধরিয়ে দিয়েছিল তারই পোষা তোতাপাখি।

আরব টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর আচরণে সন্দেহ দানা বাঁধছিল স্ত্রীর মনে। তিনি ধারণা করছিলেন যে, তাদের গৃহপরিচারিকার সঙ্গে স্বামীর কোনো অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, কিন্তু হাতে কোনো প্রমাণ ছিল না।

ঘটনার মোড় নেয় যখন তাদের পোষা তোতা পাখিটি হঠাৎ করেই কিছু 'অন্তরঙ্গ' এবং 'ফ্লার্টি' কথাবার্তা বারবার বলতে শুরু করে। স্ত্রীর মতে, পাখিটির মুখে এই ধরনের ব্যক্তিগত আলাপ শুনে তার সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।

একদিন স্ত্রী নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিস থেকে বাড়ি ফিরে এলে তার স্বামী। অস্বস্তিতে পড়েন এবং নার্ভাস হয়ে যান। এর পরেই তিনি হাওয়ালি থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন এবং তোতাপাখির শেখা ওই বাক্যগুলোকেই প্রধান প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করেন।

তবে, মামলার প্রসিকিউশন অফিসার জানান যে এই অভিযোগ আদালতে টিকবে না। কারণ, তোতাপাখিটি কোথা থেকে এসব কথা শিখেছে, তা নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করা সম্ভব নয়। পাখিটি টেলিভিশন বা রেডিও থেকেও এই ধরনের সংলাপ শুনে তা শিখতে পারে। ফলে, ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের অভাবে’ মামলাটি আর এগোয়নি।

কুয়েতে পরকীয়ার কঠোর আইন

প্রসঙ্গত, কুয়েতে বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক একটি গুরুতর দণ্ডনীয় অপরাধ। দেশটির দণ্ডবিধি অনুযায়ী, এই অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জেল বা কঠোর শ্রমের সাজা দেওয়া হতে পারে। শাস্তির মেয়াদ মামলার পরিস্থিতি এবং প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়, যা কয়েক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণের জন্য প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, স্পষ্ট অডিও-ভিডিও রেকর্ডিং বা অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির মতো প্রমাণ প্রয়োজন হয়। শুধুমাত্র সন্দেহের ওপর ভিত্তি করে মামলা চালানো হয় না। ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধের কারণে কুয়েতে এই আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়। তবে অনেক সময় পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে ভুক্তভোগী পক্ষ আইন-আদালতের পরিবর্তে সামাজিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে নেয়।

এই বিচিত্র ঘটনাটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে রসিকতা করে মন্তব্য করেন, "বাড়িতে তোতা পোষার আগে দুবার ভাবুন।" আবার কেউ কেউ বলেন, "কখনো কখনো পোষা প্রাণীই প্রযুক্তির চেয়ে বড় প্রমাণ হয়ে দাঁড়ায়।"

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]