
হাঁপানি অতি বিষম বস্তু। যাঁরা ভোগেন, তাঁরা এর যন্ত্রণা বিলক্ষণ জানেন। আর যাঁরা অল্প ঠান্ডাতেই হাঁচি-কাশি-শ্বাসকষ্টে অস্থির হয়ে ওঠেন, তাঁরা মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে সাময়িক স্বস্তি পেয়ে ভাবেন, অর্ধেক রোগ বুঝি সেরেই গেল! হাঁপানিকে মোটেও খাটো করে দেখা উচিত নয়। এর অভিঘাত থেকে নিস্তার নেই, একে শুধু বশে রাখা সম্ভব। হাঁপানির প্রকোপ যদি গুরুতর হয়, বার বার হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন পড়ে, তা হলে শুধু ওষুধে এই রোগকে বশে রাখা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে আরও উন্নত চিকিৎসাপদ্ধতি রয়েছে, যার নাম ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি। কলকাতাতেও এখন এই চিকিৎসা হচ্ছে।
কেন হানা দেয় হাঁপানি?
হাঁপানি হয় মূলত শ্বাসনালিতে প্রদাহের কারণে। দীর্ঘকালীন প্রদাহের ফলে শ্বাসনালির স্বাভাবিক ব্যাস কমে যায় এবং সংবেদনশীলতা বাড়ে। ফলে ফুসফুসের ভিতর বায়ু ঢোকা ও বেরনোর পথ সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে। শ্বাসনালির ভিতর মিউকাসের ক্ষরণ বাড়তে বাড়তে তা আরও সঙ্কুচিত হতে থাকে। সঠিক চিকিৎসা না হলে শ্বাসনালি পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। চিকিৎসকেরা অনেক ক্ষেত্রেই বলেন, হাঁপানি বংশগত কারণে হতে পারে। তবে বর্তমান সময়ে যে ভাবে দূষণের পাল্লা ভারী হচ্ছে, তাতে হাঁপানির সমস্যা এখন ঘরে ঘরে।
ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি ‘সিভিয়ার অ্যাজমা'য় আক্রান্তদের জন্যই উপযোগী, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসক দেবরাজ যশ। অ্যালার্জি নেই, অথচ হাঁপানির টান বাড়ে, বার বার ইনহেলার ব্যবহার করেও হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে আসে না, তাঁদের জন্য এই পদ্ধতি কার্যকরী। সে ক্ষেত্রে হাঁপানি বশে রাখতে স্টেরয়েড নেওয়ার প্রয়োজন নেই, এই চিকিৎসা পদ্ধতিতেই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিছু ক্ষেত্রে ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি সফল হলে ইনহেলারের প্রয়োজনীয়তা কমে যায় বা শেষ হয়ে যায়।
ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি (বিটি) একটি ব্রঙ্কোস্কোপিক পদ্ধতি, যার মাধ্যমে সঙ্কীর্ণ বায়ুপথ প্রসারিত হয়ে শ্বাসের গতি স্বাভাবিক করা সম্ভব। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয়। সেটি উইন্ডপাইপের মাধ্যমে ঢুকিয়ে তাপ দেওয়া হয়। এই তাপ ফুসফুসের পেশিগুলিকে সঙ্কুচিত করে, যাতে শ্বাসনালি আরও বড় হয়ে যায়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয় এবং শ্বাসকষ্ট কমে যায়।
ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টির জন্য তিনটি সিটিং প্রয়োজন হয়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে তিন বার এই প্রক্রিয়া করতে হয়। এই থেরাপিতে কাটাছেঁড়া করার দরকার পড়ে না। যন্ত্রণাহীন পদ্ধতিতেই হাঁপানির চিকিৎসা সম্ভব। এই চিকিৎসা ঠিকমতো হলে হাঁপানির তীব্রতা কমে, রোগীরও কষ্ট অনেক কমে যায়।
কেন হানা দেয় হাঁপানি?
হাঁপানি হয় মূলত শ্বাসনালিতে প্রদাহের কারণে। দীর্ঘকালীন প্রদাহের ফলে শ্বাসনালির স্বাভাবিক ব্যাস কমে যায় এবং সংবেদনশীলতা বাড়ে। ফলে ফুসফুসের ভিতর বায়ু ঢোকা ও বেরনোর পথ সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে। শ্বাসনালির ভিতর মিউকাসের ক্ষরণ বাড়তে বাড়তে তা আরও সঙ্কুচিত হতে থাকে। সঠিক চিকিৎসা না হলে শ্বাসনালি পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। চিকিৎসকেরা অনেক ক্ষেত্রেই বলেন, হাঁপানি বংশগত কারণে হতে পারে। তবে বর্তমান সময়ে যে ভাবে দূষণের পাল্লা ভারী হচ্ছে, তাতে হাঁপানির সমস্যা এখন ঘরে ঘরে।
ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি ‘সিভিয়ার অ্যাজমা'য় আক্রান্তদের জন্যই উপযোগী, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসক দেবরাজ যশ। অ্যালার্জি নেই, অথচ হাঁপানির টান বাড়ে, বার বার ইনহেলার ব্যবহার করেও হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে আসে না, তাঁদের জন্য এই পদ্ধতি কার্যকরী। সে ক্ষেত্রে হাঁপানি বশে রাখতে স্টেরয়েড নেওয়ার প্রয়োজন নেই, এই চিকিৎসা পদ্ধতিতেই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিছু ক্ষেত্রে ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি সফল হলে ইনহেলারের প্রয়োজনীয়তা কমে যায় বা শেষ হয়ে যায়।
ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি (বিটি) একটি ব্রঙ্কোস্কোপিক পদ্ধতি, যার মাধ্যমে সঙ্কীর্ণ বায়ুপথ প্রসারিত হয়ে শ্বাসের গতি স্বাভাবিক করা সম্ভব। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয়। সেটি উইন্ডপাইপের মাধ্যমে ঢুকিয়ে তাপ দেওয়া হয়। এই তাপ ফুসফুসের পেশিগুলিকে সঙ্কুচিত করে, যাতে শ্বাসনালি আরও বড় হয়ে যায়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয় এবং শ্বাসকষ্ট কমে যায়।
ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টির জন্য তিনটি সিটিং প্রয়োজন হয়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে তিন বার এই প্রক্রিয়া করতে হয়। এই থেরাপিতে কাটাছেঁড়া করার দরকার পড়ে না। যন্ত্রণাহীন পদ্ধতিতেই হাঁপানির চিকিৎসা সম্ভব। এই চিকিৎসা ঠিকমতো হলে হাঁপানির তীব্রতা কমে, রোগীরও কষ্ট অনেক কমে যায়।