
কথায় বলে, জলই জীবন। তা কিয়দংশে সঠিকও বটে। একাধিক স্বাস্থ্য-সমস্যা মোকাবিলায় জল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এমন সাধারণ জলকেই আরও উপকারী বানানো যায়। তাই হয়তো ডিটক্স ওয়াটারের ব্যবহার বেড়েছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে। ভারতীয় হেঁশেলে সহজেই পাওয়া যায়, এমন বিভিন্ন উপাদান রয়েছে, যা সাধারণ জলের সঙ্গে যোগ করে তার পুষ্টিগুণ আরও বাড়িয়ে তোলা যেতে পারে। জলের ঔষধিগুণ বৃদ্ধির ৯টি উপায় জেনে নিন—
১. লেবুর জল: লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে, ক্লান্তি দূর করে ও বার্ধক্যের গতি কমায়।
২. পুদিনার জল: পুদিনা হজমে সাহায্য করে, মানসিক চাপ কমায় এবং শরীরকে সতেজ রাখে। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ ত্বক পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।
৩. আদা দেওয়া জল: আদার মধ্যে জিঞ্জেরল নামের উপাদান রয়েছে, যা প্রদাহ কমায়। এটি অন্ত্রের সমস্যা দূর করে, শরীরের ফোলা ভাব কমায়, পেট ফাঁপার সমস্যা দূর করে এবং ডায়াবিটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাসেও ভূমিকা পালন করে।
৪. শসার জল: শসা দেহকে ভাল ভাবে হাইড্রেট করে, টক্সিন দূর করে, ত্বক সুন্দর রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
৫. মধুর জল: মধু হজমশক্তি বাড়ায়, শরীরকে চাঙ্গা করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং জীবাণুর সঙ্গে মোকাবিলা করে। এটি ভাল ঘুমেরও সহায়ক।
৬. হলুদ-জল: হলুদে থাকা কারকিউমিন প্রদাহ কমায়, লিভার পরিষ্কার রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি মস্তিষ্ক ও হার্টের জন্যও উপকারী।
৭. মৌরির জল: মৌরির জল হজমের গোলযোগ দূর করে, শরীরের হরমোনের ভারসাম্য রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের গতি কিছুটা হলেও ধীর করে।
৮. ডাবের জল: ডাবের জলে প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট থাকে, যা শরীরকে দ্রুত আর্দ্র করে। এটি হৃদ্যন্ত্র ও কিডনিকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৯. তুলসীপাতার জল: তুলসীপাতার অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ শরীরকে নানা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস তুলসীপাতা ভিজানো জল পান করলে স্বাস্থ্য মজবুত হয়।
দৈনন্দিন জীবনে এই উপাদানগুলি মিশিয়ে সহজেই সাধারণ জলকে আরও উপকারী করে তোলা যায়। তবে কারও যদি বিশেষ কোনও স্বাস্থ্য-সমস্যা বা অ্যালার্জি থাকে, তবে জলে মেশানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
১. লেবুর জল: লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে, ক্লান্তি দূর করে ও বার্ধক্যের গতি কমায়।
২. পুদিনার জল: পুদিনা হজমে সাহায্য করে, মানসিক চাপ কমায় এবং শরীরকে সতেজ রাখে। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ ত্বক পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।
৩. আদা দেওয়া জল: আদার মধ্যে জিঞ্জেরল নামের উপাদান রয়েছে, যা প্রদাহ কমায়। এটি অন্ত্রের সমস্যা দূর করে, শরীরের ফোলা ভাব কমায়, পেট ফাঁপার সমস্যা দূর করে এবং ডায়াবিটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাসেও ভূমিকা পালন করে।
৪. শসার জল: শসা দেহকে ভাল ভাবে হাইড্রেট করে, টক্সিন দূর করে, ত্বক সুন্দর রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
৫. মধুর জল: মধু হজমশক্তি বাড়ায়, শরীরকে চাঙ্গা করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং জীবাণুর সঙ্গে মোকাবিলা করে। এটি ভাল ঘুমেরও সহায়ক।
৬. হলুদ-জল: হলুদে থাকা কারকিউমিন প্রদাহ কমায়, লিভার পরিষ্কার রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি মস্তিষ্ক ও হার্টের জন্যও উপকারী।
৭. মৌরির জল: মৌরির জল হজমের গোলযোগ দূর করে, শরীরের হরমোনের ভারসাম্য রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের গতি কিছুটা হলেও ধীর করে।
৮. ডাবের জল: ডাবের জলে প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট থাকে, যা শরীরকে দ্রুত আর্দ্র করে। এটি হৃদ্যন্ত্র ও কিডনিকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৯. তুলসীপাতার জল: তুলসীপাতার অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ শরীরকে নানা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস তুলসীপাতা ভিজানো জল পান করলে স্বাস্থ্য মজবুত হয়।
দৈনন্দিন জীবনে এই উপাদানগুলি মিশিয়ে সহজেই সাধারণ জলকে আরও উপকারী করে তোলা যায়। তবে কারও যদি বিশেষ কোনও স্বাস্থ্য-সমস্যা বা অ্যালার্জি থাকে, তবে জলে মেশানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।