কঙ্গনা রনৌতের প্রথম ঋতুস্রাবের অভিজ্ঞতা: প্রকাশ্যে এল এক মর্মস্পর্শী কাহিনি!

আপলোড সময় : ৩১-০৮-২০২৫ ০৫:৩৩:৫০ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ৩১-০৮-২০২৫ ০৫:৩৩:৫০ অপরাহ্ন
সম্প্রতি এক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর প্রথম ঋতুস্রাবের অভিজ্ঞতা নিয়ে অকপটে কথা বলেছেন কঙ্গনা রনৌত, যা সমাজে এই স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

কঙ্গনার কৈশোরের কঠিন সময়
অন্যান্য মেয়েদের তুলনায় দেরিতে ঋতুস্রাব হওয়ায় কঙ্গনার মা বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন। কঙ্গনা তখনো পুতুল খেলতে ভালোবাসতেন। একদিন হঠাৎ তাঁর মা এসে পুতুলগুলো ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলেন, "এই কারণেই এখনও তোমার ঋতুস্রাব হলো না!" কিশোরী কঙ্গনার জন্য এটি ছিল এক কঠিন অভিজ্ঞতা। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় একদিন সকালে ঘুম ভাঙতেই তিনি দেখেন বিছানার চাদর রক্তে ভেজা। ভয়ে তিনি কাঁদতে শুরু করেন। তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, "ঠিক এই ঘটনাটাই কি প্রতি মাসে হবে?" মা স্বস্তি পেলেও কঙ্গনার কাছে ঘটনাটি ছিল আতঙ্কজনক। তাঁর মনে হয়েছিল যেন রাতারাতি তিনি বড় হয়ে গিয়েছেন এবং বাবা-মায়ের ভালোবাসা হারাবেন। নিজেকে তাঁর অস্পৃশ্য ও অপ্রিয় মনে হতে থাকে।

সমাজকে সচেতনতার বার্তা
কঙ্গনার এই অকপট স্বীকারোক্তি শুধু তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতি নয়, বরং সমাজে ঋতুস্রাব নিয়ে বিদ্যমান লজ্জা ও ভয়ের আবরণ সরিয়ে খোলামেলা আলোচনার প্রয়োজনীয়তাকেও স্পষ্ট করে তোলে। মনোবিদ ও অধ্যাপিকা আত্রেয়ী ভট্টাচার্য বলেন, "তথ্যই আসল ক্ষমতা। আগামী দিনের যাপনের সঙ্গে যুঝে ওঠার জন্য সেই তথ্য আমাদের প্রয়োজন। এখনকার প্রজন্ম, অর্থাৎ জেনারেশন আলফা, যারা প্রথম ঋতুস্রাবের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছে, তাদের এই দৈহিক পরিবর্তন সম্পর্কে আগে থেকে অবগত করা উচিত।"

খোলামেলা আলোচনার প্রয়োজনীয়তা
আত্রেয়ী ভট্টাচার্য মনে করেন, আগের প্রজন্মের মতো ঋতুস্রাব নিয়ে ফিসফাস করলে বা ছুৎমার্গ বজায় রাখলে এমন অভিজ্ঞতাকে অসহনীয়ই মনে হবে, কারণ তাদের কাছে সম্পূর্ণ তথ্য পৌঁছানো হচ্ছে না। তিনি আশা করেন যে জেনারেশন আলফা এই বিষয়ে আরও বেশি স্পষ্টবাদী হবে এবং একে অপরের সাথে আলোচনা করবে, যাতে দৈহিক পরিবর্তনের পাশাপাশি মানসিক পরিবর্তনগুলোকেও তারা চিহ্নিত করতে পারে, যা কঙ্গনাদের প্রজন্ম বা তাদের মায়েদের প্রজন্ম করে উঠতে পারেনি।

কঙ্গনার এই সাহসিকতা সমাজে ঋতুস্রাব নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ভাঙতে এবং নতুন প্রজন্মকে এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন করতে সাহায্য করবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা মেয়েদের জীবনে ঋতুস্রাবকে আর ভয়ের কারণ না হয়ে স্বাভাবিক একটি বিষয় হিসেবে মেনে নিতে সাহায্য করবে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]