৯০ বছর ধরে এই গ্রামের কেউই পড়েনা পোশাক, ঘুরছেন খোলা শরীরেই

আপলোড সময় : ৩১-০৮-২০২৫ ০৭:০৫:২৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ৩১-০৮-২০২৫ ০৭:০৫:২৭ অপরাহ্ন
একটি গ্রামের কেউ পোশাক পরেননা। অথচ সে গ্রামে বাইরে থেকেও বিভিন্ন কারণে মানুষ আসেন। কিন্তু পোশাক না থাকায় গ্রামের মানুষ এতটুকুও লজ্জা পান না।

গ্রাম বলা হলেও বেশ উন্নত। দোতলা বাড়ি রয়েছে অনেকের। বিলাসবহুল জীবনও যাপন করেন। অর্থের প্রাচুর্য নেহাত কম নয়। সচ্ছলতার অভাব নেই কারও। কিন্তু তাঁরা পোশাক পরেননা। ছোট থেকে বড় হয়ে বৃদ্ধ হয়ে এই গ্রামে মারাও গেছেন এমন বহু মানুষ জীবনে কখনও গায়ে এক টুকরো সুতো দিয়ে দেখেননি কেমন লাগে।

গোটা গ্রামের মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে সব বয়সের মানুষ উন্মুক্ত দেহেই ঘুরে বেড়ান। শুনে মনে হতে পারে এটা কোনও প্রাচীন নিয়ম হতে পারে। কিন্তু তাও নয়। এই পোশাক ছাড়াই গ্রামে বসবাসের রীতি শুরু হয়েছিল ১৯২৯ সালে।

চার্লস ম্যাকাসকি নামে এক ব্যক্তি ব্রিটেনের এই ১২ একর জমি কেনেন। তারপর সেখানে একটি গ্রাম তৈরি করেন। স্পিলপ্লাজ গ্রামটি তৈরি হওয়ার পর এখানে প্রভূত উন্নতি হয়। উন্নত জীবনযাপন শুরু করেন সকলে। তবে গ্রামের জন্মদাতার দাবি ছিল প্রকৃতি মানুষকে যেভাবে তৈরি করেছে সেভাবেই এই গ্রামে থাকতে হবে।

অর্থাৎ প্রকৃতির সঙ্গে মিশে সম্পূর্ণ অনাবৃত দেহে থাকতে হবে এই গ্রামে। তা মেনেও নন সকলে। আর তারপর থেকে কার্যত পরম্পরা মেনে আজও এই গ্রামের বাসিন্দারা অনাবৃত অবস্থায় ঘুরে বেড়ান।

এই গ্রামে ডাকবিভাগের কর্মী থেকে জিনিসপত্র যোগান দিতে আসা মানুষ, বেড়াতে আসা মানুষজন সকলেই আসেন। তাঁরা এঁদের পোশাকহীন অবস্থাতেই ঘুরতে দেখেন।

গ্রামের মানুষের বক্তব্য সকলেই তাঁদের এভাবে দেখে অভ্যস্ত। তাই তাঁদেরও কিছু মনে হয়না। আর যাঁরা দেখছেন তাঁদেরও কিছু মনে হয়না। তবে এ গ্রামে ঘর ভাড়া নিতে গেলে কিন্তু ওই গ্রামের রীতি মেনে পোশাক ছাড়তে হবে। নাহলে ভাড়া পাওয়া মুশকিল।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]