পাশে পুতিন, অন্য পাশে কিম, মাঝে জিনপিং! ‘জোট’কে কটাক্ষ করলেন ট্রাম্প

আপলোড সময় : ০৩-০৯-২০২৫ ১০:৩২:১৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৩-০৯-২০২৫ ১০:৩২:১৫ অপরাহ্ন
এক পাশে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং অন্য পাশে উত্তর কোরিয়ার অবিসংবাদী নেতা কিম জ‌ং উন। দুই রাষ্ট্রনেতাকে দু’পাশে নিয়ে লাল গালিচার উপর দিয়ে হেঁটে তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারের দিকে এগিয়ে যান চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিন রাষ্ট্রনেতার এই ‘ফ্রেম’ কি শুধুই সৌহার্দ্যের বার্তা না কি পশ্চিম বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ, আলোচনা চলছে নানা মহলে। তবে এই বন্ধুত্বকে যে খুব একটা ভাল চোখে দেখছেন না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জিনপিংকে আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান এবং জাপানের বিরুদ্ধে চিনের যুদ্ধজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে বুধবার বেজিঙে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে জিনপিং, পুতিন এবং কিমকে একমঞ্চে দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ট্রাম্প। কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক সুরে চিনা প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে ট্রাম্প জানান, তাঁর পক্ষ থেকে জিনপিং যেন পুতিন এবং কিমকে ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’ জানান। একই সঙ্গে ট্রাম্পের অভিযোগ, জিনপিং আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।

বিজয় উৎসব হচ্ছে চিনে, আর সেখানে ব্রাত্য আমেরিকা! এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, ‘‘চিনের বিজয় এবং গৌরব ফেরানোর জন্য অনেক আমেরিকান মারা গিয়েছেন। আমি আশা করি, তাঁদের সাহসিকতা এবং ত্যাগকে যথাযথ সম্মান দেখানো হবে।’’ উল্লেখ্য, ১৯৩০-৪০ দশকে চিন এবং জাপান সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। সেই যুদ্ধে অনেক চিনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। তার পরে ১৯৪১-এর ৭ ডিসেম্বর পার্ল হারবারে বিমান হানা শুরু করে জাপান। পরের সাত ঘণ্টায় ছ’টি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকে মোট ৩৫৩টি বিমান কার্যত দুরমুশ করে ওই মার্কিন নৌঘাঁটি। ডুবে যায় তাদের ৪টি যুদ্ধজাহাজ ও ২টি জাহাজ। ধ্বংস হয় ১৮৮টি বিমান। মারা যান ২ হাজার ৪০৩ জন মার্কিন সেনা। ট্রাম্পের কথায় সেই বিষয়টিই উঠে এসেছে।

তবে বিজয় উৎসবের মঞ্চ থেকে চিনা প্রেসিডেন্ট নাম না করে আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প এবং আমেরিকাকে। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘‘চিন কখনই কোনও গুন্ডামিতে ভয় পায় না। সর্বদা এগিয়ে যাবে।’’ এই সব ক্ষেত্রে চিন ‘অপ্রতিরোধ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন জিনপিং। উল্লেখ্য, চিনের উপর শুল্ক আরোপের পর থেকেই বেজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের এক অবনতি দেখা যায়। চিনকে ‘কোণঠাসা’ করতে ট্রাম্প যে পন্থা নিয়েছিলেন, সেই পথে হেঁটেই জবাব দিতে চান জিনপিং। ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিকে পাশে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন তিনি। সেখানে ভারতকে পাশে টানার চেষ্টা করছে চিন। সদ্যসমাপ্ত এসসিও সম্মেলনের মঞ্চকে মার্কিন বিরোধী ঐক্যমঞ্চ’ হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন জিনপিং, এমনই মত অনেকের।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]