আল্লাহর কাছে কবুল হওয়া ২টি দোয়া

আপলোড সময় : ০৪-০৯-২০২৫ ০৩:১৫:০৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৪-০৯-২০২৫ ০৩:১৫:০৭ অপরাহ্ন
কোরআনে আল্লাহ তাআলা তার নবি হজরত আইয়ুবের (আ.) দোয়া ও হজরত ইউনুসের (আ.) দোয়া বর্ণনা করেছেন। আল্লাহর তাআলার এই দুজন নবিই কঠিন বিপদে পড়ে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেন এবং আল্লাহ তাআলা তাদের দোয়া কবুল করেন। আমরা এখানে আল্লাহ তাআলার কাছে কবুল হওয়া সেই দুটি দোয়া এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনা সংক্ষেপে তুলে ধরছি।

হজরত আইয়ুবের (আ.) দোয়া
আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহে জীবনের প্রথম দিকে আইয়ুব (আ.) ছিলেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে পরিপূর্ণ একজন মানুষ। তারপর জীবনের এক পর্যায়ে আল্লাহ তাআলা তাকে পরীক্ষায় ফেলেন। তিনি তার ধন-সম্পদ হারান, সন্তানদের হারান এবং গুরুতর অসুস্থতায় আক্রান্ত হন। কিন্তু তিনি আল্লাহ তাআলার রহমতের আশা, আল্লাহ তাআলার ওপর ভরসা ও ধৈর্য হারাননি। বরং তিনি আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত বিনয়ী, নমনীয় ও সুন্দর ভাষায় দোয়া করেন। তার দোয়াটি পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা তুলে ধরেছেন। দোয়াটি হলো,

انِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ

উচ্চারণ: ইন্নী মাসসানিয়ায যুররু ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমীন।

অর্থ: আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু! (সুরা আম্বিয়া: ৮৩)

দীর্ঘ দিনের অসুস্থতা ও দুঃখ-কষ্টের পরও তার দোয়ায় আল্লাহর প্রতি কোনো অভিযোগের সুর ছিল না। এমন কি দোয়ায় কোনো দাবিও নেই। তিনি শুধু বলেছেন, হে আল্লাহ আপনি তো আমার অবস্থা দেখছেন আর আপনি শ্রেষ্ঠ দয়ালু!

তার এই দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। আল্লাহ তাআলা তার ওপর সন্তুষ্ট হন এবং আবার তাকে সুস্থতা, পরিবার ও সম্পদ দান করেন।

হজরত ইউনুসের (আ.) দোয়া
ইউনুস (আ.) আল্লাহ তাআলার একজন সম্মানিত নবি যাকে আল্লাহ তাআলা মুসেলের একটি জনপদ নায়নুয়ার অধিবাসীদের হেদায়াতের জন্যে প্রেরণ করেছিলেন। তিনি তাদেরকে এক আল্লাহর ওপর ইমানের দাওয়াত দেন। উত্তম ও ভালো কাজের দাওয়াত দেন।

কিন্তু দীর্ঘ দিন দাওয়াত দেওয়ার পরও ওই এলাকার মানুষ আল্লাহর ওপর ঈমান আনেনি। এক পর্যায়ে ইউনুস (আ.) তাদের ওপর ক্রুদ্ধ হন এবং তাদেরকে আল্লাহর আজাবের ভয় দেখিয়ে আল্লাহর নির্দেশ ছাড়াই ওই এলাকা ত্যাগ করেন।

আল্লাহর প্রেরিত নবি হিসেবে তার কর্তব্য ছিল আল্লাহর স্পষ্ট নির্দেশের অপেক্ষা করা। আল্লাহর নির্দেশ বা অনুমতি ছাড়া ওই এলাকা ত্যাগ করার কারণে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন।

তিনি ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পথে একটি নৌকায় ওঠেন। নৌকাটি মাঝ সমুদ্রে গিয়ে থেমে যায়। লোকেরা যে কোনোভাবে বুঝতে পারে বিশেষ কোনো ব্যক্তির কারণে এটা আটকে গেছে। তখন তারা লটারি করে এবং তাতে ইউনুসের (আ.) নাম ওঠে। ইউনুস (আ.) ওই নৌকা থেকে সমুদ্রে লাফিয়ে পড়েন এবং একটি বড় মাছ তাকে গিলে ফেলে।

আল্লাহর তাআলার ইচ্ছায় ও দয়ায় ওই মাছের পেটে তিনি জীবিত থাকেন এবং নিজের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন,

لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنۡتَ سُبۡحٰنَكَ اِنِّیۡ كُنۡتُ مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ-জ্জালিমীন।

অর্থ: আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আপনি পবিত্র, মহান। নিশ্চয় আমি ছিলাম জালিম।

তার দোয়া আল্লাহর কাছে কবুল হয় এবং আল্লাহ তাআলা তাকে মাছের পেট থেকে মুক্তি দেন।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]