
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্বর্ণের দুলের লোভে ৯ বছরের এক ছাত্রীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথায় ইট দিয়ে আঘাতের অভিযোগে আরজু আক্তার (৩০) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কমলনগর থানা পুলিশ রামগতির বালুরচর এলাকা থেকে তাকে আটক করে। তিনি চরফলকন ইউনিয়নের হাওলাদার বাড়ির অজি উল্যাহর মেয়ে। ভুক্তভোগী শিশু তাহমিনা আক্তার সাদিয়া (৯) একই ইউনিয়নের মধ্য চরফলকন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আরজু প্রতিবেশী সাদিয়াকে খেলতে যাওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে করুণানগর ও ফজুমিয়ারহাট হয়ে কিল্লার রাস্তার পাশে নিয়ে কানের স্বর্ণের দুল জোরপূর্বক খুলে নেয়। সাদিয়া কান্না শুরু করলে সে শিশুকে মারধর করে। পরে চর লরেঞ্চ বাজারের এক জুয়েলারি দোকানে দুলটি ৭ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি করে দেয়।
এরপর স্বর্ণ নিয়ে ফের কান্নাকাটি করলে আরজু শিশুটিকে বাগানের এক পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে হাত-পা বেঁধে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে ফেলে রেখে যায়। সাদিয়া অচেতন হয়ে পড়লে হত্যার নিশ্চয়তা ভেবে আরজু নিজ বাড়িতে ফিরে যায়।
কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে সাদিয়া পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার পর রোববার সকালে শিশুটির মা নারগিস বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এদিকে অভিযুক্ত আরজুকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কমলনগর থানার ওসি।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কমলনগর থানা পুলিশ রামগতির বালুরচর এলাকা থেকে তাকে আটক করে। তিনি চরফলকন ইউনিয়নের হাওলাদার বাড়ির অজি উল্যাহর মেয়ে। ভুক্তভোগী শিশু তাহমিনা আক্তার সাদিয়া (৯) একই ইউনিয়নের মধ্য চরফলকন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আরজু প্রতিবেশী সাদিয়াকে খেলতে যাওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে করুণানগর ও ফজুমিয়ারহাট হয়ে কিল্লার রাস্তার পাশে নিয়ে কানের স্বর্ণের দুল জোরপূর্বক খুলে নেয়। সাদিয়া কান্না শুরু করলে সে শিশুকে মারধর করে। পরে চর লরেঞ্চ বাজারের এক জুয়েলারি দোকানে দুলটি ৭ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি করে দেয়।
এরপর স্বর্ণ নিয়ে ফের কান্নাকাটি করলে আরজু শিশুটিকে বাগানের এক পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে হাত-পা বেঁধে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে ফেলে রেখে যায়। সাদিয়া অচেতন হয়ে পড়লে হত্যার নিশ্চয়তা ভেবে আরজু নিজ বাড়িতে ফিরে যায়।
কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে সাদিয়া পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার পর রোববার সকালে শিশুটির মা নারগিস বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এদিকে অভিযুক্ত আরজুকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কমলনগর থানার ওসি।