সন্তানকে 'ভাল মানুষ' তৈরি করতে চাইছেন, তাকে ‘না’ বলতেও শিখুন

আপলোড সময় : ০৮-০৯-২০২৫ ০৬:০৬:০৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৮-০৯-২০২৫ ০৬:০৬:০৯ অপরাহ্ন
বাচ্চারা তাদের মতো করে নানা রকম খেলাধুলা, দুষ্টুমি কিংবা চমকে দেওয়ার মতো আচরণ করে হামেশাই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা বাবা-মায়ের কাছে আনন্দের তো বটেই। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের ওপর কঠোর হতে হয়, বিশেষত যখন বিষয়টি শিশুদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার সঙ্গে যুক্ত। তাই অভিভাবকদের প্রয়োজন একটা জায়গায় সীমারেখা তৈরি করা। কিন্তু সন্তানকে সরাসরি ‘না’ বললে অনেক সময় তারা আঘাত পায়, কষ্ট পায় বা আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে। কীভাবে সামলাবেন সেইসব মুহূর্ত?

এই প্রসঙ্গে মনোচিকিৎসক, গেটওয়ে অফ হিলিং-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ডিরেক্টর ডাঃ চাঁদনী তুগনাইট বলছেন, সন্তানকে ‘না’ বলা কোনও প্রত্যাখ্যান নয়, বরং ভালবাসারই প্রকাশ। তাঁর মতে, “অনেক সময় অভিভাবক মনে করেন ‘না’ শব্দটা কঠোর শোনায়, সন্তানকে আঘাত করতে পারে। কিন্তু সত্যি বলতে, যখন তা নরম সুরে অথচ দৃঢ়ভাবে বলা হয়, তখন কিন্তু তা আসলে ভালবাসারই ওপর নাম। সীমারেখা তৈরি করতে পারা শিশুদের সম্মান করতে পারা, ধৈর্য ও দায়িত্ববোধ শেখায় - যা তাদের ভবিষ্যতে সুরক্ষিত ও দায়িত্বশীল এক প্রাপ্তবয়স্ক হতে উঠতে সাহায্য করে।”

তিনি আরও বলেন, সন্তানকে কীভাবে ‘না’ বলা হচ্ছে, সেটাই মূল বিষয়। ধমকে বা অবহেলার সুরে বললে বাচ্চা মনে করতে পারে তার কথা শোনা হচ্ছে না। অথচ শান্ত, দৃঢ় ও কোমলভাবে বলা হলে তারা বোঝে সীমা মানে নিরাপত্তা ও ধারাবাহিকতা।

ডাঃ তুগনাইট জানালেন সন্তানকে ‘না’ বলার ৫টি বিশেষ উপায় -

১. আগে তার আবেগ বোঝার চেষ্টা করুন: না বলার আগে সন্তানের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন। যেমন: “আমি জানি তুমি আরও কিছুক্ষণ মোবাইলে গেম খেলতে চাইছ, কিন্তু এখন ঘুমোবার সময়।” এতে সহানুভূতি প্রকাশ পায়, আবার সীমারেখাও বজায় থাকে।

২. সহজ ব্যাখ্যা দিন: বাচ্চারা দীর্ঘ বক্তৃতা বোঝে না, স্পষ্ট কারণ চায়। যেমন: “না, আজ আর নতুন খেলনা কেনা হবে না, কারণ আমরা বিশেষ কিছু জন্য টাকা জমাচ্ছি।”

৩. বিকল্পের দিকে নজর ঘোরান: শুধু ‘না’ না বলে, ইতিবাচক বিকল্প দিন। যেমন: “ডিনারের আগে আইসক্রিম হবে না, তবে তুমি চাইলে আমার সঙ্গে হেলদি স্ন্যাক বেছে নিতে পারো।”

৪. শান্ত ও ধারাবাহিক থাকুন: বাচ্চারা কিন্তু আপনার সীমা পরীক্ষা করে। কিন্তু অভিভাবকের শান্ত ভঙ্গি তাদের আশ্বস্ত করে। আপনি যদি অতিরিক্ত খেলার সময় না দেন, তাতে অটল থাকুন। ধারাবাহিকতা আস্থা গড়ে তোলে।

৫. সম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করুন: ‘না’ বলার ধরন থেকেই শিশুরা শেখে সীমারেখা তৈরি করা। কোমল কিন্তু দৃঢ় সুরে বললে বোঝে সীমা মানে আগ্রাসন নয়, দায়িত্বশীলতা।

শেষ পর্যন্ত, অভিভাবকের কাজ হল সন্তানকে বোঝানো যে, ‘না’ মানে তাদের আনন্দ কেড়ে নেওয়া নয়, বরং তাদের সুরক্ষার জন্যই সীমারেখা। শান্তভাবে বুঝিয়ে বললে শিশুরা প্রত্যাখ্যাত নয়, বরং বোঝে যে তাদের কথাও শোনা হচ্ছে। যখন ভালবাসা দিয়ে ‘না’ বলা হয়, তখন বোঝা যায় সেটি শাস্তি নয়, যত্নেরই প্রকাশ।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]