হেলিকপ্টারের দড়ি ধরে ঝুলে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন নেপালের মন্ত্রীরা

আপলোড সময় : ১১-০৯-২০২৫ ০৩:৪২:০৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১১-০৯-২০২৫ ০৩:৪২:০৮ অপরাহ্ন
হিংসা বিধ্বস্ত নেপালের একটি ভিডিও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একদল মানুষ একটি সেনা হেলিকপ্টারের সাহায্যে নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টায় পালাচ্ছেন। তাও আবার কপ্টার থেকে ফেলা দড়ি ধরে ঝুলে! অনেকেই মনে করছেন, এঁরা সকলেই পদত্যাগী মন্ত্রী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্য।

সামাজিক মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই কাঠমান্ডুতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, যার ফলস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এও জল্পনা ছিল যে তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই এই ভিডিওটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি হেলিকপ্টারের আরও একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল। দাবি করা হয়েছিল, তাতে উঠে পালিয়েছেন পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী। যদিও ভিডিওর কোনও সত্যতা যাচাই করেনি দ্য ওয়াল।

বর্তমানে নেপাল সেনার শিবপুরি ব্যারাকে রয়েছেন ওলি। সেখান থেকেই দলের সাধারণ সম্পাদককে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, “আমি যদি লিপুলেখ ইস্যুতে প্রশ্ন না তুলতাম, তাহলে এখনও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম।” শুধু তাই নয়, অযোধ্যা ও ভগবান রামকে ঘিরে তাঁর অবস্থানও রাজনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ওলির বক্তব্য, “আমি ক্ষমতা হারিয়েছি কারণ আমি মানতে চাইনি রামের জন্মভূমি অযোধ্যায় ছিল।”

নেপালে বিদ্রোহের আগুনে ইতিমধ্যে মৃত বেড়ে হয়েছে ৩০। আহত হাজারের বেশি! কার্ফু অব্যাহত এবং পাশাপাশি চলছে সেনার নজরদারিও। গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসে। পুলিশ প্রথমে বিক্ষোভকারীদের উপর কড়াকড়ি শুরু করে এবং একপর্যায়ে গুলি চালায়। এই ঘটনায় বিক্ষোভের মাত্রা আরও বেড়ে যায় এবং হামলার ঘটনা ঘটে।

নেপালের বর্তমান অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। সাম্প্রতিক বিদ্রোহে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদচ্যুত হওয়ার পর ভার্চুয়াল বৈঠকে ভোটাভুটিতে কার্কি পান ৩১ শতাংশ সমর্থন। খুব সামান্য ব্যবধানে তিনি এগিয়ে যান কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহর থেকে, যিনি পেয়েছেন ২৭ শতাংশ ভোট।

সেনাবাহিনী অবশ্য ইতিমধ্যে করা বার্তা দিয়েছে প্রতিবাদীদের উদ্দেশে। সেনাপ্রধান স্পষ্ট করে বলেছেন, বিক্ষোভের নামে কোনও রকম ভাঙচুর, লুটপাট বরদাস্ত করা হবে না। সেরম হলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আপাতত দেশে নাইট কার্ফুও জারি করেছে সেনাবাহিনী। তবে দিনে এবং রাতে ২ ঘণ্টা করে শিথিলতা আনা হয়েছে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]