
কিছুদিন আগে পর্যন্তও এমন একটা ধারণা বদ্ধমূল ছিল যে, স্তন ক্যানসার সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ২০-এর কোঠায় থাকা তরুণীদের মধ্যেও হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে এই রোগের হার। চিকিৎসকদের কাছে এই প্রবণতা গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যানসারের উৎস এবং প্রতিরোধের উপায় নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠছে।
এই প্রসঙ্গে এইচসিজি ক্যানসার সেন্টার, বোরিভালির সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জিক্যাল ব্রেস্ট অনকোলজি) ভবিশা ঘুগারে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বিশেষ করে এই বয়সে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, তরুণ রোগীদের ক্ষেত্রে রোগ সাধারণত আক্রমণাত্মক প্রকৃতির হয়। সন্দেহ কম থাকায় অনেক সময় দেরিতে রোগ ধরা পড়ে।”
বয়স্ক মহিলাদের তুলনায় তরুণীদের স্তন ক্যানসারের উৎস কিছুটা ভিন্ন। সাধারণত দেখা যায়-
• জেনেটিক মিউটেশন (BRCA1, BRCA2, TP53) – জিনের কোনও মিউটেশন হয়ে থাকলে সারাজীবনের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
• পারিবারিক ইতিহাস – পরিবারের কারও স্তন ক্যানসার বা ওভারিয়ান ক্যানসার থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।
• কিশোরী বয়সে বুকে রেডিয়েশন থেরাপির ইতিহাস যদি থাকে।
• হরমোনজনিত কারণ – অল্প বয়সে পিরিয়ড শুরু হওয়া বা দীর্ঘমেয়াদি হরমোনাল চিকিৎসা। যদিও ঝুঁকি তুলনামূলক কম।
• লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর – অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ওবেসিটি, ব্যায়ামের অভাব, অ্যালকোহল ও ধূমপান।
যেসব লক্ষণে সতর্ক হবেন
তরুণীরা প্রায়শই স্তনে পরিবর্তনকে হরমোনজনিত বা সাধারণ ‘গাঁট’ বলে এড়িয়ে যান। অথচ এগুলি সতর্ক হওয়ার সংকেত হতে পারে।
• স্তন বা বগলে ব্যথাহীন গাঁট
• স্তনের আকার বা আকৃতিতে পরিবর্তন
• ত্বকে গর্ত হওয়া, লালচে ভাব বা মোটা হয়ে যাওয়া
• স্তনবৃন্ত বা নিপল ভেতরে ঢুকে যাওয়া বা কোনও তরল বেরনো (বিশেষ করে রক্তমিশ্রিত)
প্রতিরোধ ও প্রাথমিক শনাক্তকরণের টিপস
ডাঃ ঘুগারের মতে, ঝুঁকি কমানোর কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে—
• বয়স অনুযায়ী স্বাভাবিক ওজন ও সক্রিয় জীবনযাপন বজায় রাখা
• অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়ানো
• পরিবারে ইতিহাস থাকলে জেনেটিক কাউন্সেলিং ও টেস্টিং
• নিজের স্তন সম্পর্কে সচেতন থাকা, অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া
• উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মহিলাদের ক্ষেত্রে নিয়মিত স্ক্রিনিং – নির্দেশিকা অনুযায়ী ২৫ বছর বয়স থেকেই ম্যামোগ্রাম বা এমআরআই শুরু করা উচিত
ডা. ঘুগারে সতর্ক করে বলেন, “বিশের কোঠায় থাকলে কেউই স্তন ক্যানসারের কথা ভাবে না। কিন্তু সচেতন থাকলে বড় পার্থক্য তৈরি করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসার সফলতার সম্ভাবনা সর্বাধিক। তাই কোনও পরিবর্তনকে হালকাভাবে নেবেন না, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।
এই প্রসঙ্গে এইচসিজি ক্যানসার সেন্টার, বোরিভালির সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জিক্যাল ব্রেস্ট অনকোলজি) ভবিশা ঘুগারে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বিশেষ করে এই বয়সে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, তরুণ রোগীদের ক্ষেত্রে রোগ সাধারণত আক্রমণাত্মক প্রকৃতির হয়। সন্দেহ কম থাকায় অনেক সময় দেরিতে রোগ ধরা পড়ে।”
বয়স্ক মহিলাদের তুলনায় তরুণীদের স্তন ক্যানসারের উৎস কিছুটা ভিন্ন। সাধারণত দেখা যায়-
• জেনেটিক মিউটেশন (BRCA1, BRCA2, TP53) – জিনের কোনও মিউটেশন হয়ে থাকলে সারাজীবনের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
• পারিবারিক ইতিহাস – পরিবারের কারও স্তন ক্যানসার বা ওভারিয়ান ক্যানসার থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।
• কিশোরী বয়সে বুকে রেডিয়েশন থেরাপির ইতিহাস যদি থাকে।
• হরমোনজনিত কারণ – অল্প বয়সে পিরিয়ড শুরু হওয়া বা দীর্ঘমেয়াদি হরমোনাল চিকিৎসা। যদিও ঝুঁকি তুলনামূলক কম।
• লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর – অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ওবেসিটি, ব্যায়ামের অভাব, অ্যালকোহল ও ধূমপান।
যেসব লক্ষণে সতর্ক হবেন
তরুণীরা প্রায়শই স্তনে পরিবর্তনকে হরমোনজনিত বা সাধারণ ‘গাঁট’ বলে এড়িয়ে যান। অথচ এগুলি সতর্ক হওয়ার সংকেত হতে পারে।
• স্তন বা বগলে ব্যথাহীন গাঁট
• স্তনের আকার বা আকৃতিতে পরিবর্তন
• ত্বকে গর্ত হওয়া, লালচে ভাব বা মোটা হয়ে যাওয়া
• স্তনবৃন্ত বা নিপল ভেতরে ঢুকে যাওয়া বা কোনও তরল বেরনো (বিশেষ করে রক্তমিশ্রিত)
প্রতিরোধ ও প্রাথমিক শনাক্তকরণের টিপস
ডাঃ ঘুগারের মতে, ঝুঁকি কমানোর কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে—
• বয়স অনুযায়ী স্বাভাবিক ওজন ও সক্রিয় জীবনযাপন বজায় রাখা
• অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়ানো
• পরিবারে ইতিহাস থাকলে জেনেটিক কাউন্সেলিং ও টেস্টিং
• নিজের স্তন সম্পর্কে সচেতন থাকা, অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া
• উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মহিলাদের ক্ষেত্রে নিয়মিত স্ক্রিনিং – নির্দেশিকা অনুযায়ী ২৫ বছর বয়স থেকেই ম্যামোগ্রাম বা এমআরআই শুরু করা উচিত
ডা. ঘুগারে সতর্ক করে বলেন, “বিশের কোঠায় থাকলে কেউই স্তন ক্যানসারের কথা ভাবে না। কিন্তু সচেতন থাকলে বড় পার্থক্য তৈরি করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসার সফলতার সম্ভাবনা সর্বাধিক। তাই কোনও পরিবর্তনকে হালকাভাবে নেবেন না, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।