
পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের বিভীষিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিয়ামত শুরু হলে মানুষের কী অবস্থা হবে এবং এর ভয়াবহতা দেখে তারা কতটা আতঙ্কিত হবেন, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন আল্লাহ তায়ালা।
কোরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে, কিয়ামতের ভয়াবহতা দেখে যুবকেরা বৃদ্ধ হয়ে যাবে, মায়েরা শিশুদের কথা ভুলে যাবে এবং গর্ভধারিণীর গর্ভপাত হয়ে যাবে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের তাকওয়া অবলম্বন কর; নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ংকর ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা দেখবে সেদিন প্রত্যেক স্তন্য দানকারিনী আপন দুগ্ধপোষ্য শিশুকে ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভধারিণী তার গর্ভপাত করে ফেলবে, তুমি দেখবে মানুষকে মাতাল সদৃশ, অথচ তারা মাতাল নয়। তবে আল্লাহর আজাবই কঠিন। (সুরা হজ, আয়াত : ১-২)
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সফর অবস্থায় এই আয়াত নাজিল হয়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চঃস্বরে আয়াতটি তিলাওয়াত শুরু করলেন। সফরসঙ্গী সাহাবায়ে কেরাম তার আওয়াজ শুনে এক জায়গায় সমবেত হয়ে গেলেন।
তিনি সবাইকে সম্বোধন করে বললেন : এই আয়াতে উল্লেখিত কেয়ামতের ভূকম্পন কোন দিন হবে তোমরা জানো কি? সাহাবায়ে কেরাম বললেন : আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : এটা সেই দিনে হবে, যেদিন আল্লাহ তায়ালা আদম আলাইহিস সালাম-কে সম্বোধন করে বললেন : যারা জাহান্নামে যাবে, তাদেরকে উঠাও। আদম আলাইহিস সালাম জিজ্ঞেস করবেন : কারা জাহান্নামে যাবে? উত্তর হবে, প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বললেন : এই সময়েই ত্ৰাস ও ভীতির আধিক্যে বালকরা বৃদ্ধ হয়ে যাবে, গর্ভবতী নারীদের গর্ভপাত হয়ে যাবে।
সাহাবায়ে কেরাম একথা শুনে ভীত-বিহ্বল হয়ে গেলেন এবং প্রশ্ন করলেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের মধ্যে কে মুক্তি পেতে পারে? তিনি বললেন : তোমরা নিশ্চিন্ত থাক। যারা জাহান্নামে যাবে, তাদের এক হাজার ইয়াজুজ-মাজুজের মধ্য থেকে এবং একজন তোমাদের মধ্য থেকে হবে।
কোন কোন রেওয়ায়েতে আছে, সেদিন তোমরা এমন দুই সম্প্রদায়ের সাথে থাকবে যে, তারা যে দলে ভিড়বে, সেই দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে। একটি ইয়াজুজ-মাজুজের সম্প্রদায় ও অপরটি ইবলিস ও তার সাঙ্গোপাঙ্গ এবং আদম সন্তানদের মধ্যে যারা তোমাদের পূর্বে মারা গেছে, তাদের সম্প্রদায়। (তিরমিজি, হাদিস : ৩১৬৯)
কোরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে, কিয়ামতের ভয়াবহতা দেখে যুবকেরা বৃদ্ধ হয়ে যাবে, মায়েরা শিশুদের কথা ভুলে যাবে এবং গর্ভধারিণীর গর্ভপাত হয়ে যাবে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের তাকওয়া অবলম্বন কর; নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ংকর ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা দেখবে সেদিন প্রত্যেক স্তন্য দানকারিনী আপন দুগ্ধপোষ্য শিশুকে ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভধারিণী তার গর্ভপাত করে ফেলবে, তুমি দেখবে মানুষকে মাতাল সদৃশ, অথচ তারা মাতাল নয়। তবে আল্লাহর আজাবই কঠিন। (সুরা হজ, আয়াত : ১-২)
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সফর অবস্থায় এই আয়াত নাজিল হয়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চঃস্বরে আয়াতটি তিলাওয়াত শুরু করলেন। সফরসঙ্গী সাহাবায়ে কেরাম তার আওয়াজ শুনে এক জায়গায় সমবেত হয়ে গেলেন।
তিনি সবাইকে সম্বোধন করে বললেন : এই আয়াতে উল্লেখিত কেয়ামতের ভূকম্পন কোন দিন হবে তোমরা জানো কি? সাহাবায়ে কেরাম বললেন : আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : এটা সেই দিনে হবে, যেদিন আল্লাহ তায়ালা আদম আলাইহিস সালাম-কে সম্বোধন করে বললেন : যারা জাহান্নামে যাবে, তাদেরকে উঠাও। আদম আলাইহিস সালাম জিজ্ঞেস করবেন : কারা জাহান্নামে যাবে? উত্তর হবে, প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বললেন : এই সময়েই ত্ৰাস ও ভীতির আধিক্যে বালকরা বৃদ্ধ হয়ে যাবে, গর্ভবতী নারীদের গর্ভপাত হয়ে যাবে।
সাহাবায়ে কেরাম একথা শুনে ভীত-বিহ্বল হয়ে গেলেন এবং প্রশ্ন করলেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের মধ্যে কে মুক্তি পেতে পারে? তিনি বললেন : তোমরা নিশ্চিন্ত থাক। যারা জাহান্নামে যাবে, তাদের এক হাজার ইয়াজুজ-মাজুজের মধ্য থেকে এবং একজন তোমাদের মধ্য থেকে হবে।
কোন কোন রেওয়ায়েতে আছে, সেদিন তোমরা এমন দুই সম্প্রদায়ের সাথে থাকবে যে, তারা যে দলে ভিড়বে, সেই দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে। একটি ইয়াজুজ-মাজুজের সম্প্রদায় ও অপরটি ইবলিস ও তার সাঙ্গোপাঙ্গ এবং আদম সন্তানদের মধ্যে যারা তোমাদের পূর্বে মারা গেছে, তাদের সম্প্রদায়। (তিরমিজি, হাদিস : ৩১৬৯)