
পার্থিব জীবনে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে ইচ্ছাধিকার দিয়েছেন। কেউ চাইলে তাকে মানতে পারে এবং কেউ চাইলে আল্লাহর বিপরীতে অন্য কারো উপাসনা করতে পারে। পৃথিবী মানুষের জন্য পরীক্ষার ক্ষেত্র। এখানে কেউ আল্লাহর আদেশের বিপরীত কিছু করলে তিনি তাকে বাধা প্রদান করেন না। তবে মানুষ যেন সঠিক পথে চলতে পারে তাই তিনি প্রতি যুগে নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। নবীদের মাধ্যমে তাদের সরল-সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছে।
নবীর আহ্বান শুনার পর প্রত্যেক যুগেই কিছু মানুষ তার কথা মেনে নিয়েছে, আবার কেউ কেউ নবীর আহ্বানে সাড়া না দিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা আল্লাহ, পরকাল, পরকালের অন্তত জীবনকে অস্বীকার কলে অবিশ্বাসীতে পরিণত হয়েছে।
এই মানুষগুলো পুরো জীবন আল্লাহ ও পরকালে অবিশ্বাস করলেও মৃত্যুর সময় এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হবে। তখন তারা আল্লাহর কাছে আবার সুযোগ চাবে, দুনিয়ার জীবনে সময় নষ্ট করার কারণে আফসোস করবে। কিন্তু তাদের তখন আর কোনো সময় ও সুযোগ দেওয়া হবে না। তাদের এই পরিস্থিতি নিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—
যখন তাদের (অবিশ্বাসী ও পাপীদের) কারো মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন সে বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে পুনরায় (দুনিয়ায়) প্রেরণ কর। যাতে আমি আমার ছেড়ে আসা জীবনে সৎকর্ম করতে পারি। না, এটা হবার নয়; এটা তো তার একটা উক্তি মাত্র; তাদের সামনে ‘বারযাখ’ (যবনিকা) থাকবে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত। (সুরা আল-মুমিনুন, আয়াত : ৯৯-১০০)
অর্থাৎ, মৃত্যুর সময় যখন কাফের ব্যক্তি আখেরাতের আজাব অবলোকন করতে থাকে, তখন এমন বাসনা প্ৰকাশ করে, আফসোস করবে, আমি যদি পুনরায় দুনিয়াতে ফিরে যেতাম এবং সৎকর্ম করে এই আজাব থেকে রেহাই পেতাম।
অন্য জায়গায় বলা হয়েছে, আর সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে বের করুন, আমরা যা করতাম তার পরিবর্তে সৎকাজ করব।’ আল্লাহ বলবেন, আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করিনি যে, তখন কেউ উপদেশ গ্ৰহণ করতে চাইলে উপদেশ গ্ৰহণ করতে পারতো? আর তোমাদের কাছে সতর্ককারীও এসেছিল। কাজেই শাস্তি আস্বাদন কর; আর জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই। (সুরা ফাতির, আয়াত : ৩৭)
কিন্তু তাদের সে চাওয়া পূরণ করা হবে না।
নবীর আহ্বান শুনার পর প্রত্যেক যুগেই কিছু মানুষ তার কথা মেনে নিয়েছে, আবার কেউ কেউ নবীর আহ্বানে সাড়া না দিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা আল্লাহ, পরকাল, পরকালের অন্তত জীবনকে অস্বীকার কলে অবিশ্বাসীতে পরিণত হয়েছে।
এই মানুষগুলো পুরো জীবন আল্লাহ ও পরকালে অবিশ্বাস করলেও মৃত্যুর সময় এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হবে। তখন তারা আল্লাহর কাছে আবার সুযোগ চাবে, দুনিয়ার জীবনে সময় নষ্ট করার কারণে আফসোস করবে। কিন্তু তাদের তখন আর কোনো সময় ও সুযোগ দেওয়া হবে না। তাদের এই পরিস্থিতি নিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—
যখন তাদের (অবিশ্বাসী ও পাপীদের) কারো মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন সে বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে পুনরায় (দুনিয়ায়) প্রেরণ কর। যাতে আমি আমার ছেড়ে আসা জীবনে সৎকর্ম করতে পারি। না, এটা হবার নয়; এটা তো তার একটা উক্তি মাত্র; তাদের সামনে ‘বারযাখ’ (যবনিকা) থাকবে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত। (সুরা আল-মুমিনুন, আয়াত : ৯৯-১০০)
অর্থাৎ, মৃত্যুর সময় যখন কাফের ব্যক্তি আখেরাতের আজাব অবলোকন করতে থাকে, তখন এমন বাসনা প্ৰকাশ করে, আফসোস করবে, আমি যদি পুনরায় দুনিয়াতে ফিরে যেতাম এবং সৎকর্ম করে এই আজাব থেকে রেহাই পেতাম।
অন্য জায়গায় বলা হয়েছে, আর সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে বের করুন, আমরা যা করতাম তার পরিবর্তে সৎকাজ করব।’ আল্লাহ বলবেন, আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করিনি যে, তখন কেউ উপদেশ গ্ৰহণ করতে চাইলে উপদেশ গ্ৰহণ করতে পারতো? আর তোমাদের কাছে সতর্ককারীও এসেছিল। কাজেই শাস্তি আস্বাদন কর; আর জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই। (সুরা ফাতির, আয়াত : ৩৭)
কিন্তু তাদের সে চাওয়া পূরণ করা হবে না।