
রাজশাহী ওয়াসার ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার প্রকল্পের আওতায় শতবর্ষী ও পঞ্চাশোর্ধ বয়সের গাছ হত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি প্রদান করেছে রাজশাহীর সচেতন নগরবাসী। গতকাল ৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে এই চিঠি সংশ্লিষ্ট সকলের দপ্তরে পৌছে দেয়া হয়েছে।
চিঠি প্রদান করা হয়েছে, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজ রায়হান, সওজ, সড়ক বিভাগ রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী সানজিদা আফরিন ঝিনুক, সামাজিক বন বিভাগ রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক মোছা. তাছমিনা খাতুনকে প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদীকে পেরণ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে রাজশাহী নগরীর পানির চাহিদা পূরণে ‘পানি শোধনাগার’ নির্মাণ প্রয়োজনীয় হলেও তা জনগুরুত্বপূর্ণ গাছের বিনিময়ে হতে পারে না। কাটার জন্য চিহ্নিত গাছগুলোর বয়স আনুমানিক ৪০-৬০ বছর। তবে, ১০-১২ বছর বয়সী গাছও রয়েছে এ তালিকায়। এসব গাছগুলোর মধ্যে কড়াই, আম, নিমসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির গাছ রয়েছে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ গাছগুলোকে রেখে পানি শোধনাগারের পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ করাই হবে যৌক্তিক উদ্যোগ।
প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশের নিরাপত্তার বিধানে সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদে অঙ্গীকার করেছে রাষ্ট্র। ফলে যেকোনো উন্নয়ন কার্যক্রমই পরিবেশ রক্ষা করে করতে হবে। বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ২৩ ধারার বিধান অনুযায়ী বিভিন্ন পাখির আবাসস্থল হিসেবে উল্লেখিত বৃক্ষগুলোকে জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণার সুযোগ রয়েছে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী এলাকা প্রাকৃতিক কারণেই ক্ষরাপ্রবণ এবং এ অঞ্চলের আবহাওয়া অত্যন্ত রুক্ষ। ক্ষরাপ্রবণ এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে অধিক গাছের প্রয়োজন এবং এ গাছগুলোর অবদান অনস্বীকার্য। উপরুন্ত উল্লেখিত গাছগুলো বিভিন্ন ধরনের পাখির আবাসস্থল। রাস্তার দুইপাশে থাকা এসব গাছে বিভিন্ন ধরনের পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকে। ইতোমধ্যে রাস্তার এক পাশের গাছ কাটার ফলে অনেকটা মরুভূমির মতো হয়ে গেছে এলাকাটি।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন, সবুজ সংহতির আহ্বায়ক নদী ও পরিবেশ গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, উন্নয়নকর্মী মো. আফজাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই-৩৬ পরিষদের সভাপতি মাহমুদ জামাল কাদেরী, সেভ দি নেচার এন্ড লাইফ এর চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, জর্জ কোর্ট রাজশাহীর এডভোকেট হোসেন আলী পিয়ারা, ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাসের সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিক, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় এর সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল, বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজ-বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চলের সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি শাইখ তাসনীম জামাল, সামাজিক কল্যান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সম্রাট রায়হান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহী মহানগর এর সাধারণ সম্পাদক নাদিম সিনা, সাংস্কৃতিক আন্দোলনকর্মী ওয়ালিউর রহমান বাবু, গ্রীন ভয়েস, রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি রাবেয়া খাতুন, ০.৬ গ্রাভিটি রাইডার্স এর সভাপতি মাসুম মাহবুবসহ প্রমুখ।
চিঠি প্রদান করা হয়েছে, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজ রায়হান, সওজ, সড়ক বিভাগ রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী সানজিদা আফরিন ঝিনুক, সামাজিক বন বিভাগ রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক মোছা. তাছমিনা খাতুনকে প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদীকে পেরণ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে রাজশাহী নগরীর পানির চাহিদা পূরণে ‘পানি শোধনাগার’ নির্মাণ প্রয়োজনীয় হলেও তা জনগুরুত্বপূর্ণ গাছের বিনিময়ে হতে পারে না। কাটার জন্য চিহ্নিত গাছগুলোর বয়স আনুমানিক ৪০-৬০ বছর। তবে, ১০-১২ বছর বয়সী গাছও রয়েছে এ তালিকায়। এসব গাছগুলোর মধ্যে কড়াই, আম, নিমসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির গাছ রয়েছে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ গাছগুলোকে রেখে পানি শোধনাগারের পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ করাই হবে যৌক্তিক উদ্যোগ।
প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশের নিরাপত্তার বিধানে সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদে অঙ্গীকার করেছে রাষ্ট্র। ফলে যেকোনো উন্নয়ন কার্যক্রমই পরিবেশ রক্ষা করে করতে হবে। বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ২৩ ধারার বিধান অনুযায়ী বিভিন্ন পাখির আবাসস্থল হিসেবে উল্লেখিত বৃক্ষগুলোকে জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণার সুযোগ রয়েছে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী এলাকা প্রাকৃতিক কারণেই ক্ষরাপ্রবণ এবং এ অঞ্চলের আবহাওয়া অত্যন্ত রুক্ষ। ক্ষরাপ্রবণ এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে অধিক গাছের প্রয়োজন এবং এ গাছগুলোর অবদান অনস্বীকার্য। উপরুন্ত উল্লেখিত গাছগুলো বিভিন্ন ধরনের পাখির আবাসস্থল। রাস্তার দুইপাশে থাকা এসব গাছে বিভিন্ন ধরনের পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকে। ইতোমধ্যে রাস্তার এক পাশের গাছ কাটার ফলে অনেকটা মরুভূমির মতো হয়ে গেছে এলাকাটি।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন, সবুজ সংহতির আহ্বায়ক নদী ও পরিবেশ গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, উন্নয়নকর্মী মো. আফজাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই-৩৬ পরিষদের সভাপতি মাহমুদ জামাল কাদেরী, সেভ দি নেচার এন্ড লাইফ এর চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, জর্জ কোর্ট রাজশাহীর এডভোকেট হোসেন আলী পিয়ারা, ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাসের সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিক, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় এর সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল, বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজ-বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চলের সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি শাইখ তাসনীম জামাল, সামাজিক কল্যান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সম্রাট রায়হান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহী মহানগর এর সাধারণ সম্পাদক নাদিম সিনা, সাংস্কৃতিক আন্দোলনকর্মী ওয়ালিউর রহমান বাবু, গ্রীন ভয়েস, রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি রাবেয়া খাতুন, ০.৬ গ্রাভিটি রাইডার্স এর সভাপতি মাসুম মাহবুবসহ প্রমুখ।