
প্রেম কোনও কাঁটাতার বেড়া মানে না, মানে না জাত, ধর্ম, বর্ণ বা দেশের সীমানা। জার্মানির সারা এবং নাইজেরিয়ার সাইপ্রিয়ানের প্রেমকাহিনি যেন সেই প্রবাদকেই সত্যি প্রমাণ করল। মাঝের দূরত্ব প্রায় ৪,৮০০ কিলোমিটার। কিন্তু তাতে কী! নেটমাধ্যমের আলাপ গড়িয়েছে প্রেমে, এখন তাঁরা এক সন্তানের বাবা-মা। যদিও তাঁদের এই সম্পর্ককে ঘিরে নেটপাড়ার নীতিপুলিশদের কটাক্ষ থামার নয়। যুগলের কাহিনি সম্প্রতি 'লাভ ডোন্ট জাজ' নামের একটি শো-তে তুলে ধরা হয়েছে।
খবর অনুযায়ী, সম্পর্কের শুরুটা হয়েছিল নেটমাধ্যমেই। সারার সাদামাটা জীবনযাপন এবং ঘোড়ার প্রতি তাঁর ভালবাসাই সাইপ্রিয়ানের নজর কেড়েছিল। মেসেজ চালাচালির মাধ্যমে বন্ধুত্ব, যা ধীরে ধীরে গভীর হয়। নিজের পুরনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সাইপ্রিয়ানের সঙ্গে সারার ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। এরপরই এক দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত নেন সারা। পরিবার বা বন্ধুদের কাউকে কিছু না জানিয়েই তিনি উড়ে যান আফ্রিকার দেশ বেনিনে, সাইপ্রিয়ানের সঙ্গে দেখা করতে।
সারা জানান, প্রথম সাক্ষাতের মুহূর্তটা যেন কোনও পুরনো বন্ধুর সঙ্গে পুনর্মিলন হচ্ছে এমন ছিল। তাঁর কথায়, "আমরা কখনও মুখে বলিনি যে আমরা সম্পর্কে আছি। এটা খুব স্বাভাবিকভাবেই হয়ে গিয়েছিল।" কিন্তু তার ঠিক দু'সপ্তাহ পরেই আসে নতুন চমক। সারা বুঝতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
এরপরই শুরু হয় যুগলের আসল লড়াই। ভিসার অভাবে সাইপ্রিয়ানের পক্ষে জার্মানিতে আসা সম্ভব হয়নি। অগত্যা প্রযুক্তির মাধ্যমেই দূরে বসে সন্তানের জন্ম দেখেন তিনি। চার মাস পর সারা সদ্যোজাতকে নিয়ে ফের আফ্রিকায় পাড়ি দেন। জানা গিয়েছে, সেটাই ছিল বাবা-ছেলের প্রথম দেখা, আর সারার সঙ্গে সাইপ্রিয়ানের দ্বিতীয়।
বর্তমানে তাঁরা জার্মানিতে একসঙ্গেই থাকেন এবং নিজেদের জীবনের নানা মুহূর্ত ভাগ করে নেন সামাজিক মাধ্যমে। কিন্তু সেখানেও ধেয়ে আসে একের পর এক আক্রমণ। নেটিজেনদের একাংশের অভিযোগ, সাইপ্রিয়ান কেবল জার্মান ভিসার জন্যই সারার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। অনেকে আবার কটাক্ষ করে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, "সারা দ্রুতই একা হতে চলেছেন।
এই সমস্ত সমালোচনার জবাবে সাইপ্রিয়ানের উত্তর অবশ্য মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। তিনি বলেন, "যারা আমাদের বিচার করছেন, আমি প্রার্থনা করি, তাঁরাও যেন জীবনে প্রকৃত ভালবাসা খুঁজে পান এবং সুস্থ হয়ে ওঠেন।" ভালবাসার জোরেই যে তাঁরা সব বাধা পেরিয়ে যাবেন, সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী এই যুগল।
খবর অনুযায়ী, সম্পর্কের শুরুটা হয়েছিল নেটমাধ্যমেই। সারার সাদামাটা জীবনযাপন এবং ঘোড়ার প্রতি তাঁর ভালবাসাই সাইপ্রিয়ানের নজর কেড়েছিল। মেসেজ চালাচালির মাধ্যমে বন্ধুত্ব, যা ধীরে ধীরে গভীর হয়। নিজের পুরনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সাইপ্রিয়ানের সঙ্গে সারার ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। এরপরই এক দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত নেন সারা। পরিবার বা বন্ধুদের কাউকে কিছু না জানিয়েই তিনি উড়ে যান আফ্রিকার দেশ বেনিনে, সাইপ্রিয়ানের সঙ্গে দেখা করতে।
সারা জানান, প্রথম সাক্ষাতের মুহূর্তটা যেন কোনও পুরনো বন্ধুর সঙ্গে পুনর্মিলন হচ্ছে এমন ছিল। তাঁর কথায়, "আমরা কখনও মুখে বলিনি যে আমরা সম্পর্কে আছি। এটা খুব স্বাভাবিকভাবেই হয়ে গিয়েছিল।" কিন্তু তার ঠিক দু'সপ্তাহ পরেই আসে নতুন চমক। সারা বুঝতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
এরপরই শুরু হয় যুগলের আসল লড়াই। ভিসার অভাবে সাইপ্রিয়ানের পক্ষে জার্মানিতে আসা সম্ভব হয়নি। অগত্যা প্রযুক্তির মাধ্যমেই দূরে বসে সন্তানের জন্ম দেখেন তিনি। চার মাস পর সারা সদ্যোজাতকে নিয়ে ফের আফ্রিকায় পাড়ি দেন। জানা গিয়েছে, সেটাই ছিল বাবা-ছেলের প্রথম দেখা, আর সারার সঙ্গে সাইপ্রিয়ানের দ্বিতীয়।
বর্তমানে তাঁরা জার্মানিতে একসঙ্গেই থাকেন এবং নিজেদের জীবনের নানা মুহূর্ত ভাগ করে নেন সামাজিক মাধ্যমে। কিন্তু সেখানেও ধেয়ে আসে একের পর এক আক্রমণ। নেটিজেনদের একাংশের অভিযোগ, সাইপ্রিয়ান কেবল জার্মান ভিসার জন্যই সারার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। অনেকে আবার কটাক্ষ করে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, "সারা দ্রুতই একা হতে চলেছেন।
এই সমস্ত সমালোচনার জবাবে সাইপ্রিয়ানের উত্তর অবশ্য মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। তিনি বলেন, "যারা আমাদের বিচার করছেন, আমি প্রার্থনা করি, তাঁরাও যেন জীবনে প্রকৃত ভালবাসা খুঁজে পান এবং সুস্থ হয়ে ওঠেন।" ভালবাসার জোরেই যে তাঁরা সব বাধা পেরিয়ে যাবেন, সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী এই যুগল।