সাতক্ষীরা তালায় ‎একাধিক বিয়ে করে প্রতারণা! আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমানের অপকর্মের দ্রুত অবসান ঘটুক ও বিচার চাই তার স্ত্রী

আপলোড সময় : ১২-১০-২০২৫ ০৮:২২:০২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১২-১০-২০২৫ ০৮:২২:০২ অপরাহ্ন
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের ভাই প্রতারক সরদার জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে ও প্রতারণার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি পরিচয় ও প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক নারীকে বিয়ে করে অর্থ আত্মসাৎ করেন এবং পরে তাদের ত্যাগ করেন। তার ভাই আওয়ামী লীগের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মশিউর এর বিরুদ্ধেও একাধিক বিয়ে করে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। তারা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দলের নেতা ও আপন ৭ ভাই হওয়ার কারণে কবির, ইকবাল, মশিয়ার, গোলজার সরদার এদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি থাকে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে নিরীহ এক ব্যক্তি পিটিয়ে মেরে ফেলার কারণে হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেনও ক্ষমতা অপব্যবহার করে দ্রুত জেল থেকে মুক্তি পায়।
‎
‎স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউর রহমান এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৪ জন নারীকে বিয়ে করেছেন, যাদের অধিকাংশই এখন অসহায় ও নিঃস্ব অবস্থায় রয়েছেন। প্রতারণার শিকার এসব নারীদের কেউ কেউ এখন সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত, কেউ বা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। ১০ লক্ষ টাকার লোভে আবারও প্রতারণা করে চট্রগ্রামে জুলি নামে একটা মেয়ে কে ১২তম বিয়ে করেছেন। তালার আটারমাইলে এক এনজিও চাকুরীরত মহিলাকে প্রলোভন দেখিয়ে ২৬,০০০ টাকা ও একটা ব্লান চেক নিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতারণার অভিযোগ অভিযোগ ওঠেছে।
‎
‎এদের মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রী ফেরদৌসী খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবার বাড়ি রাজশাহী থেকে আমি তালার এক আত্নীয় বাসায় আসলে সে আমাকে কৌশলে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কিছুদিন ভালো আচরণ করলেও পরে জানতে পারি, সে আগে আরও কয়েকটি বিয়ে করেছে। আমার কাছ থেকে সে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন আর খোঁজ খবর ও সংসারের কোন খরচ দেয় না। আমি তালা থেকে চলে না গেলে আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমি এখন আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার নিকট থেকে প্রতারণা করে যে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে তাহা ফেরত ও তার বিচার চাই। ইতিমধ্যে তার নামে জিডি ও অভিযোগ দায়ের করেছি।
‎
‎ভুক্তভোগী ফেরদৌসী আরও জানান, জিয়াউর রহমান নিজেকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ও নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে সহজেই বিভিন্ন নারীকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হন। এরপর প্রেম ও বিয়ের ফাঁদে ফেলে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেন। সরদার জিয়াউর রহমান চেক জালিয়াতি মামলায় ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামি কিন্তু পুলিশ তাকে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আটক করছে না।
‎
‎স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তবুও সম্প্রতি একাধিক ভুক্তভোগী নারী ন্যায়বিচারের দাবিতে এগিয়ে এসেছেন এবং প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
‎
‎তালা উপজেলার কয়েকজন সচেতন নাগরিক বলেন, “এভাবে একজন রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য যদি প্রতারণা চালিয়ে যায়, তবে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।”‎অভিযোগের বিষয়ে সরদার জিয়াউর রহমানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
‎
‎স্থানীয়রা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের প্রত্যাশা—সরদার জিয়াউর রহমানের মতো প্রভাবশালী প্রতারকদের অপকর্মের দ্রুত অবসান ঘটুক। এই ব্যাপারে তালা থানার অফিসার ইনচার

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]