ব্যস্ত জীবনে ব্যালেন্স আনতে বিশেষ টিপস চিকিৎসকের

আপলোড সময় : ৩০-১০-২০২৫ ০২:৫৮:৪০ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ৩০-১০-২০২৫ ০২:৫৮:৪০ অপরাহ্ন
বেশি কাজের চাপ থাকলেই একটা সময় পর মানসিক ক্লান্তি চলেই আসে, সে আপনার যতই পছন্দের জিনিস হোক। মন ক্লান্ত হলে মনোযোগটুকু চলে যায়, প্রোডাক্টিভিটি কমে, খিটখিটে মেজাজ, স্ট্রেস, মাথাব্যথা এবং ঘুমের ব্যাঘাত দেখা দেয়। তবে কিছু নিয়মিত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং ট্রিকস মেনে চললে মস্তিষ্ককে দ্রুত 'অ্যাক্টিভেট' করা যেতে পারে।

মিশিগান নিউরোসার্জারি ইনস্টিটিউটের নিউরোসার্জন জে. জগন্নাথন ২৯ অক্টোবর তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এমনই পাঁচটি অভ্যাস শেয়ার করেছেন - যেগুলো তিনি ১৩ ঘণ্টার অপারেটিং রুম ডে ও একের পর এক কেসের পরও মানসিক ক্লান্তি কাটাতে ব্যবহার করেন। চিকিৎসকের কথায়, এগুলো দৈনন্দিন জীবনে অনুকরণ করলে আপনি আপনার মস্তিষ্কের পুনরুদ্ধারের ক্ষমতা বাড়াতে পারবেন।

ডাঃ জগন্নাথন বলছেন, কোনও চাপের কাজেই কিছুটা হলেও মানসিক ক্লান্তি অনিবার্য, কিন্তু ভাল খবর এটাই যে, একে নিয়ন্ত্রণে আনার উপায় আছে। তিনি নিজে ১৩ ঘণ্টার সার্জারি শিফটের পরও এবং টানা কাজের পর এই পাঁচ নিয়ম মানেন এবং অনেকে এগুলো তাঁদের দৈনন্দিন রুটিনে যোগ করলে উপকৃত হবে বলে মনে করেন।

১) ঘুমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন - ঘুমের সময় এবং নিয়ম মেনে চলুন: ডঃ জগন্নাথন বলেন, মস্তিষ্কের 'রক্ষণাবেক্ষণে'র জন্য রাতের নিয়মিত ৭–৯ ঘণ্টা ঘুম লাক্সারি নয়, বরং প্রয়োজন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সার্কেডিয়ান রিদম বদলে যেতে পারে। যদি ঘুমে সমস্যা অনুভব করেন, তাহলে মেলাটোনিন বা প্রাকৃতিক ওষুধের ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক ক্লান্তি কমাতে এবং ক্লান্ত দিনের শেষে মস্তিষ্কের খেয়াল রাখতে অত্যন্ত জরুরি।

২) প্রতিদিন নড়াচড়া করুন - শারীরিক কসরত জরুরি: দ্বিতীয় টিপস হিসেবে তিনি শারীরিক কসরতের ওপর জোর দিয়েছেন। গবেষণাও দেখায়, নিয়মিত শরীরচর্চা কগনিটিভ ফাংশনে বড় প্রভাব ফেলে। ডাঃ জগন্নাথন নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ভাগ করে জানিয়েছেন, প্রতি সকালে প্রায় ৬০০ ক্যালোরি ঝরান - তাঁর দিনগুলো সাধারণত চরম ব্যস্ততায় কাটায় তিনি সকাল ৪টেয় উঠেন এবং এক ঘণ্টা সাঁতার কাটেন। এই প্ল্যান তাঁর মনকে শান্ত করে, মনোযোগ বাড়ায় এবং সারাদিনের কাজের জন্য প্রস্তুত করে।

৩) পর্যাপ্ত জল খান - হাইড্রেশন বজায় রাখুন: প্রতিদিন দুই লিটার জল খাওয়া শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দুটোই কমাতে সাহায্য করে - এটাই ডাঃ জগন্নাথনের বিশেষ টিপস। পর্যাপ্ত হাইড্রেশন মাংসপেশির ক্লান্তি কমায়, মনোযোগ বাড়ায় এবং মানসিক ক্লান্তি ঠেকিয়ে রাখে। সুতরাং কাজের মাঝে নিয়মিত অল্প করে জল খেতে ভুলবেন না।

৪) মাইক্রো-ব্রেক নিন - ছোট ছোট বিরতি কাজে দেয়: লম্বা সময় ধরে বা টানা কাজের মাঝেই কিছু কিছু ২ মিনিটের ছোট ‘রিসেট’ মস্তিষ্ককে আবারা ফোকাস করাতে সাহায্য করে। তিনি জানিয়েছেন, সার্জারির দিনেও তিনি নিয়মিত ছোট বিরতি নেন, কেসের মাঝখানে হাত-পা টানটান করা, হাঁটা - এই সবই ফিরে এসে কাজে মনোযোগ বাড়ায়।

৫) মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করুন: ডাঃ জগন্নাথন মনে করেন মাইন্ডফুলনেস বা ধ্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলছেন, দিনের মধ্যে ৫–১০ মিনিট শুধু শ্বাস-প্রশ্বাস বা মাইন্ডফুলনেস অভ্যাস করলেই ফোকাস বাড়ে এবং যখন ক্লান্তি মাথাচাড়া দেয় তখন তা অনেকাংশেই কমে যায়। যদি চারপাশে শান্ত পরিবেশ নাও পান, তবুও শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর গভীর মনোযোগ দেওয়া অনুশীলন করেই তা করতে পারেন। এটা যে কোনও জায়গাতে করতে পারলেও কার্যকরী।

ডাঃ জগন্নাথন একটি বিশেষ কথাতেই জোর দিয়ে বলেছেন - ক্লান্তি আপনার কাজের অংশ হতে পারে, কিন্তু বার্নআউট হতে থাকা কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়। সঠিক অভ্যাস, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, শরীরচর্চা, হাইড্রেশন এবং মাইন্ডফুলনেস মিলিয়ে মস্তিষ্ককে দ্রুত 'রিসেট' করা সম্ভব। এই ছোট ছোট নিয়মগুলো নিয়মভাবে পালন করলে চাপমুক্ত এবং কার্যকর জীবনযাপন অনেকটাই সহজ হয়ে ওঠে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]