নিয়ামতপৃরে বৃষ্টিতে আমন ধানের ক্ষতি, শঙ্কায় কৃষক

আপলোড সময় : ০১-১১-২০২৫ ০৯:৫৪:১৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০১-১১-২০২৫ ০৯:৫৪:১৫ অপরাহ্ন
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে।  এতে উপজেলার কাঁচা-পাকা আমন ধানের গাছ নুয়ে পড়েছে। তবে গতরাতের ভারী বর্ষণে বিল এলাকার ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি দ্রুত না সরলে ধানের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। 

কৃষকেরা জানান, কয়েকদিনে উপজেলায় টানা বৃষ্টি শুরু হয়। মাঝেমধ্যে বৃষ্টির সঙ্গে চলে দমকা হাওয়া। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো প্রবলবেগে বৃষ্টি হয়। গতরাতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। 

আজ শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে উপজেলার ভাবিচা, চাপড়া, নিয়ামতপুর, বালাহৈর, সাংশৈল, কড়কড়িয়া, রামনগরসহ  বিভিন্ন এলাকার মাঠঘাট তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে খেতের আমন ধান। অনেক এলাকায় ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। দুই একটা ছাড়া প্রায় সব খেতের ধানই মাটিতে হেলে পড়েছে।

উপজেলার ভাবিচা গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল সরকার জানান, তিনি নিজের ও বর্গাসহ চার একর জমিতে আমন আবাদ করেছেন।  কিন্তু টানা বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় তাঁর খেতের ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। তাতে ফলন পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কায় আছেন তিনি।

বর্গাচাষি  খুদু মহন্ত বলেন, ‘কত কষ্ট করে ঋণ নিয়ে আমরা আবাদ করেছি। আর যখন কাটার সময় হলো, তখন পাকা ধানে মই দিয়ে গেল বৃষ্টি।’ এলাকার প্রায় সব খেতের ধানের একই অবস্থা বলে জানান তিনি ।

একই গ্রামের কৃষক গোপাল প্রামানিক জানান, শেষ সময়ের বৃষ্টিতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। বিলে কিছু জমিতে ধান লাগিয়েছি। সেগুলো ডুবে গেছে।  শুয়ে পড়া ধানগাছে কয়েক দিনের মধ্যেই পোকায় আক্রমণ করবে। এতে ধান চিটা হয়ে যাবে। খুব চিন্তার মধ্যে আছি।'

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন,  কয়েকদিনের বৃষ্টিতে উপজেলায় কিছুটা আমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ৫০-৬০ হেক্টর আমন খেত নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে এবং তাঁরা কৃষকদের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘ জমির আইল কেটে পানি বের করে দিতে ও যেসব ধান শুয়ে পড়েছে সেগুলো গোছা করে বেঁধে দিতে কৃষকদের আমরা পরামর্শ দিচ্ছি। এতে কিছুটা হলেও ক্ষতি কম হবে।’

তিনি আরও বলেন, রোদ উঠলে আর  দু’চার দিনের মধ্যে পানি শুকিয়ে গেলে পড়ে যাওয়া আমন ধানের তেমন একটা ক্ষতি হবে না বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা। 

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]