রাজশাহী অঞ্চল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে এমপিও পাসওয়ার্ড আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে বারবার হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা অভিযোগ করেছেন, এমপিও পাসওয়ার্ড ফিরে পেতে তিনি পরিচালক প্রফেসর আছাদুজ্জামানের নিকট লিখিত আবেদন করেন। তবে নানা অজুহাতে তা এখনও আটকে রাখা হয়েছে।
গত ১১ নভেম্বর পরিচালক বরাবর দেওয়া লিখিত আবেদনে অধ্যক্ষ সেলিম রেজা উল্লেখ করেন, মহামান্য হাইকোর্ট রিট পিটিশন নং ৯৮৫৭/২০২৫-এর মাধ্যমে কলেজের বর্তমান গভর্নিং বডির ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। পরবর্তীতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল নং ২৮৮৫/২০২৫-এর মাধ্যমে সেই স্থগিতাদেশ বহাল রাখা হয়। এই অবস্থায় কলেজের কার্যক্রম নির্বিঘ্নভাবে পরিচালনার স্বার্থে তাকে এমপিও পাসওয়ার্ড প্রদান করার অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান বলেন, “আমরা এসব পাসওয়ার্ড দিই না। কলেজের বিষয়ে তদন্ত ছিল, তা আমরা জমা দিয়েছি।” তবে কোর্টের আদেশসহ আবেদন করা হয়েছে-এ কথা উল্লেখ করলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “আপনি যা পারেন করেন, রিপোর্ট করতে বলেছেন, করেন।”
পরে যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় যে, “আপনার দপ্তর থেকে তো অনেক সময় এমপিও পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়,” তখন তিনি উত্তেজিত হয়ে পাশের কক্ষে উপপরিচালকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে অধ্যক্ষ সেলিম রেজা জানান, বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুলতানুল ইসলাম ও গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল হালিম অবৈধভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “অবৈধ সভাপতি আব্দুল হালিমের নির্দেশে সুলতানুল ইসলাম আমার কক্ষে তালা লাগিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “গত ২৩ জুন ২০২৫ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডিকে ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। ফলে তাদের কার্যকারিতা নেই। অথচ গত ১৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে তারা রেজুলেশন দেখিয়ে সুলতানুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।”
অধ্যক্ষ সেলিম রেজা দাবি করেন, নিয়ম অনুযায়ী এই অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাই কলেজের দায়িত্ব পালন করার কথা। তিনি বলেন, “কোর্টের আদেশসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বরাবর লিখিত আবেদন করেও কোনো পদক্ষেপ পাইনি। জেলা প্রশাসককেও জানিয়েছি, কিন্তু তিনিও ব্যবস্থা নেননি।”
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুলতানুল ইসলাম বলেন, “আমরা কোর্টে পিটিশন দিয়েছি, আমার দায়িত্ব অবৈধ নয়। আমার উকিল জানিয়েছেন, বৈধভাবে দায়িত্ব পালন করছি।”
গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল হালিম বলেন, “আমরা কোর্টে আপিল করেছি। মামলা চলমান আছে, তাই আমার দায়িত্ব অবৈধ নয় বলেই জানি।”
অন্যদিকে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, “আমি বর্তমানে ঢাকায় প্রশিক্ষণে আছি। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে কাগজপত্র দেখে মন্তব্য করতে হবে।”
গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা অভিযোগ করেছেন, এমপিও পাসওয়ার্ড ফিরে পেতে তিনি পরিচালক প্রফেসর আছাদুজ্জামানের নিকট লিখিত আবেদন করেন। তবে নানা অজুহাতে তা এখনও আটকে রাখা হয়েছে।
গত ১১ নভেম্বর পরিচালক বরাবর দেওয়া লিখিত আবেদনে অধ্যক্ষ সেলিম রেজা উল্লেখ করেন, মহামান্য হাইকোর্ট রিট পিটিশন নং ৯৮৫৭/২০২৫-এর মাধ্যমে কলেজের বর্তমান গভর্নিং বডির ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। পরবর্তীতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল নং ২৮৮৫/২০২৫-এর মাধ্যমে সেই স্থগিতাদেশ বহাল রাখা হয়। এই অবস্থায় কলেজের কার্যক্রম নির্বিঘ্নভাবে পরিচালনার স্বার্থে তাকে এমপিও পাসওয়ার্ড প্রদান করার অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান বলেন, “আমরা এসব পাসওয়ার্ড দিই না। কলেজের বিষয়ে তদন্ত ছিল, তা আমরা জমা দিয়েছি।” তবে কোর্টের আদেশসহ আবেদন করা হয়েছে-এ কথা উল্লেখ করলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “আপনি যা পারেন করেন, রিপোর্ট করতে বলেছেন, করেন।”
পরে যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় যে, “আপনার দপ্তর থেকে তো অনেক সময় এমপিও পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়,” তখন তিনি উত্তেজিত হয়ে পাশের কক্ষে উপপরিচালকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে অধ্যক্ষ সেলিম রেজা জানান, বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুলতানুল ইসলাম ও গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল হালিম অবৈধভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “অবৈধ সভাপতি আব্দুল হালিমের নির্দেশে সুলতানুল ইসলাম আমার কক্ষে তালা লাগিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “গত ২৩ জুন ২০২৫ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডিকে ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। ফলে তাদের কার্যকারিতা নেই। অথচ গত ১৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে তারা রেজুলেশন দেখিয়ে সুলতানুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।”
অধ্যক্ষ সেলিম রেজা দাবি করেন, নিয়ম অনুযায়ী এই অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাই কলেজের দায়িত্ব পালন করার কথা। তিনি বলেন, “কোর্টের আদেশসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বরাবর লিখিত আবেদন করেও কোনো পদক্ষেপ পাইনি। জেলা প্রশাসককেও জানিয়েছি, কিন্তু তিনিও ব্যবস্থা নেননি।”
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুলতানুল ইসলাম বলেন, “আমরা কোর্টে পিটিশন দিয়েছি, আমার দায়িত্ব অবৈধ নয়। আমার উকিল জানিয়েছেন, বৈধভাবে দায়িত্ব পালন করছি।”
গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল হালিম বলেন, “আমরা কোর্টে আপিল করেছি। মামলা চলমান আছে, তাই আমার দায়িত্ব অবৈধ নয় বলেই জানি।”
অন্যদিকে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, “আমি বর্তমানে ঢাকায় প্রশিক্ষণে আছি। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে কাগজপত্র দেখে মন্তব্য করতে হবে।”