রাজশাহীর তানোরে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি কথিত (এনজিও) গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর রোববার ভুক্তভোগীদের পক্ষে শিবরামপুর গ্রামের ফরজান আলীর পুত্র খাইরুল ইসলাম বাদি হয়ে একই গ্রামের মৃত আজাদ আলীর পুত্র সংস্হার এরিয়া ম্যানেজার খাইরুল ইসলামসহ মোট তিনজনকে বিবদী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তানোর থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, শিবরামপুর গ্রামের প্রভাবশালী মহলের মদদে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি'র (এমআরএ) অনুমোদন ব্যতিত কথিত এনজিও 'উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা' গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে রাতারাতি উধাও হয়েছে। শুধুমাত্র শিবরামপুর গ্রামের ২২ জন গ্রাহকের কাছে ৬২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে, শিবরামপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম ও সুমন আলী এবং সাতপুকুরিয়া গ্রামের মুকুল হোসেন। এসব টাকায় তারা পাকা বাড়ি করে আয়েসি জীবন-যাপন করছেন। গ্রামবাসি বলছে, কষ্টার্জিত টাকা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে তারা কাঁদছে, আর প্রতারকরা টাকা আত্মসাৎ করেও বুক উঁচিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় প্রধান কার্যালয় করে তানোর ও নাচোলসহ বিভিন্ন উপজেলায় শাখা অফিস খুলে অবৈধভাবে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার নামে সাধারণ গ্রাহকদের উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দিয়ে ডিপিএস ও সঞ্চয় জমা নিয়ে রাতারাতি উধাও। এঘটনায় তিনজন গ্রাহক আবু বাক্কার,সেলিনা ও রিপন বাদি হয়ে সাইদুর রহমান,খাইরুল ইসলাম,সুমন ও মুকুলকে আসামি করে আদালতে একটি মামলাও করেছেন যা বিচারাধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর সদরে একটি ভাড়া বাড়িতে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার শাখা অফিস খোলা হয়। দশ বছরে জমা টাকা দিগুন ও এক লাখ টাকায় বছরে ১৫ হাজার টাকা মুনাফা দেবার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকের কাছে থেকে ডিপিএস ও সঞ্চয় জমা নেয়া হয়। চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, এরিয়া ম্যানেজার শিবরামপুর গ্রামের মৃত আজাদ আলীর পুত্র খায়রুল ইসলাম ও মাঠকর্মী শাহজাহানের পুত্র সুমন আলী এবং সাতপুকুরিয়া গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের পুত্র মুকুল হোসেন। এরা পরিচিত মানুষ তাই তারা নিজেরা গ্রাহকের নিশ্চয়তা দেন টাকা জমার পর কোনো কিছু হলে ক্ষতিপুরুণ তারা দিবেন।তাদের কথা বিশ্বাস করে গ্রামের সহজসরল মানুষ তাদের হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন।
এদিকে শিবরামপুর গ্রামের মাঞ্জেরা বেগম, সেলিনা, সুমন রানা ও রুবিনা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশী ও এরিয়া ম্যানেজার খাইরুল ইসলামের কথা বিশ্বাস করে তারা উত্তরবঙ্গ সমিতিতে টাকা জমা করেছেন।খাইরুল তাদের বলেছিলেন তিনি গ্রামের মানুষ টাকা যদি খোয়া যায় তাহলে তিনি তার ক্ষতিপূরণ দিবেন। এবং তারা খাইরুলের কাছে টাকা জমা দিয়েছেন। আবার কিছু টাকা সুমন ও মুকুলকে দিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সমিতি উধাও হয়েছে। এখন তারা খাইরুল ইসলামের কাছে টাকা চাইলে তিনি বলছেন,তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন টাকার বিষয়ে কিছুই করতে পারবেন না।
এদিকে শিবরামপুর গ্রামের মহাসিন আলী হিসাব নম্বর ২৬৭, টাকা জমার পরিমাণ ৩ লাখ,আলতাফুর রহমান হিসাব নম্বর ৪৫০,জমা টাকার পরিমাণ ২ লাখ, মেরিনা হিসাব নম্বর ২২৩২ জমা টাকার পরিমান এক লাখ ৫ হাজার,রুবিনা হিসাব নম্বর ৪২৫ জমা টাকার পরিমাণ এক লাখ ৪০ হাজার ও সুমন রানা হিসাব নম্বর ৩৩৬ জমা টাকার পরিমান ৫ লাখ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার খাইরুল ইসলাম বলেন, তিনি অনেক আগেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। এখন তিনি এবিষয়ে কিছুই করতে পারবেন না, এছাড়াও তিনজন গ্রাহক বাদি হয়ে আদালতে মামলা করেছেন,যা বিচারাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগ রয়েছে, শিবরামপুর গ্রামের প্রভাবশালী মহলের মদদে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি'র (এমআরএ) অনুমোদন ব্যতিত কথিত এনজিও 'উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা' গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে রাতারাতি উধাও হয়েছে। শুধুমাত্র শিবরামপুর গ্রামের ২২ জন গ্রাহকের কাছে ৬২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে, শিবরামপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম ও সুমন আলী এবং সাতপুকুরিয়া গ্রামের মুকুল হোসেন। এসব টাকায় তারা পাকা বাড়ি করে আয়েসি জীবন-যাপন করছেন। গ্রামবাসি বলছে, কষ্টার্জিত টাকা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে তারা কাঁদছে, আর প্রতারকরা টাকা আত্মসাৎ করেও বুক উঁচিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় প্রধান কার্যালয় করে তানোর ও নাচোলসহ বিভিন্ন উপজেলায় শাখা অফিস খুলে অবৈধভাবে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার নামে সাধারণ গ্রাহকদের উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দিয়ে ডিপিএস ও সঞ্চয় জমা নিয়ে রাতারাতি উধাও। এঘটনায় তিনজন গ্রাহক আবু বাক্কার,সেলিনা ও রিপন বাদি হয়ে সাইদুর রহমান,খাইরুল ইসলাম,সুমন ও মুকুলকে আসামি করে আদালতে একটি মামলাও করেছেন যা বিচারাধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর সদরে একটি ভাড়া বাড়িতে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার শাখা অফিস খোলা হয়। দশ বছরে জমা টাকা দিগুন ও এক লাখ টাকায় বছরে ১৫ হাজার টাকা মুনাফা দেবার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকের কাছে থেকে ডিপিএস ও সঞ্চয় জমা নেয়া হয়। চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, এরিয়া ম্যানেজার শিবরামপুর গ্রামের মৃত আজাদ আলীর পুত্র খায়রুল ইসলাম ও মাঠকর্মী শাহজাহানের পুত্র সুমন আলী এবং সাতপুকুরিয়া গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের পুত্র মুকুল হোসেন। এরা পরিচিত মানুষ তাই তারা নিজেরা গ্রাহকের নিশ্চয়তা দেন টাকা জমার পর কোনো কিছু হলে ক্ষতিপুরুণ তারা দিবেন।তাদের কথা বিশ্বাস করে গ্রামের সহজসরল মানুষ তাদের হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন।
এদিকে শিবরামপুর গ্রামের মাঞ্জেরা বেগম, সেলিনা, সুমন রানা ও রুবিনা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশী ও এরিয়া ম্যানেজার খাইরুল ইসলামের কথা বিশ্বাস করে তারা উত্তরবঙ্গ সমিতিতে টাকা জমা করেছেন।খাইরুল তাদের বলেছিলেন তিনি গ্রামের মানুষ টাকা যদি খোয়া যায় তাহলে তিনি তার ক্ষতিপূরণ দিবেন। এবং তারা খাইরুলের কাছে টাকা জমা দিয়েছেন। আবার কিছু টাকা সুমন ও মুকুলকে দিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সমিতি উধাও হয়েছে। এখন তারা খাইরুল ইসলামের কাছে টাকা চাইলে তিনি বলছেন,তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন টাকার বিষয়ে কিছুই করতে পারবেন না।
এদিকে শিবরামপুর গ্রামের মহাসিন আলী হিসাব নম্বর ২৬৭, টাকা জমার পরিমাণ ৩ লাখ,আলতাফুর রহমান হিসাব নম্বর ৪৫০,জমা টাকার পরিমাণ ২ লাখ, মেরিনা হিসাব নম্বর ২২৩২ জমা টাকার পরিমান এক লাখ ৫ হাজার,রুবিনা হিসাব নম্বর ৪২৫ জমা টাকার পরিমাণ এক লাখ ৪০ হাজার ও সুমন রানা হিসাব নম্বর ৩৩৬ জমা টাকার পরিমান ৫ লাখ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার খাইরুল ইসলাম বলেন, তিনি অনেক আগেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। এখন তিনি এবিষয়ে কিছুই করতে পারবেন না, এছাড়াও তিনজন গ্রাহক বাদি হয়ে আদালতে মামলা করেছেন,যা বিচারাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।