কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলো একজন শিল্পীর জন্য কতটা কঠিন হতে পারে, তা আরও একবার প্রকাশ্যে এলো জনপ্রিয় মারাঠি অভিনেত্রী তেজস্বিনী পন্ডিতের সাম্প্রতিক এক বিস্ফোরক মন্তব্যে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার জীবনের এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন, যেখানে খ্যাতির বিনিময়ে তাকে যৌনতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনাটি ২০০৯-২০১০ সালের। তখন সবেমাত্র অভিনয় জগতে পা রেখেছেন তেজস্বিনী। হাতে গোনা দুই-একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। আর্থিক অবস্থাও খুব একটা সচ্ছল ছিল না। সেই সময় পুনের সিংহগড় রোডের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়া থাকতেন তিনি। সেই বাড়ির মালিক, যিনি একজন কর্পোরেটরও ছিলেন, ভাড়ার পরিবর্তে তেজস্বিনীকে সরাসরি যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দেন।
সৌমিত্র পোটের পডকাস্ট 'মিত্রামহানে'-তে অতিথি হিসেবে এসে তেজস্বিনী তার জীবনের এই অন্ধকার অধ্যায়ের কথা জানান। তিনি বলেন, আমি যখন ভাড়ার টাকা দেওয়ার জন্য তার অফিসে যাই, তখন তিনি কোনো রকম রাখঢাক না করেই আমাকে সরাসরি প্রস্তাব দেন। বাড়ির মালিকের এমন কুপ্রস্তাবে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিনেত্রী। তেজস্বিনীর কথায়, তার টেবিলে রাখা জলের গ্লাসটা আমি তুলে নিয়ে তার মুখে ছুঁড়ে মেরেছিলাম।
শুধু তাই নয়, তেজস্বিনী সেদিন ওই ব্যক্তিকে মুখের উপর জবাব দিয়েছিলেন, আমি এই পেশায় এসব করার জন্য আসিনি, নাহলে আমার ভাড়া বাড়িতে থাকতে হতো না। নিজের বাড়ি-গাড়ি সবই থাকত। অভিনেত্রী মনে করেন, তার পেশা এবং সেই সময়ের দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
এই ঘটনাটি তেজস্বিনীর জীবনে একটি বড় শিক্ষা হয়ে রয়েছে। তিনি তার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এই কঠিন পরিস্থিতি তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। নিজের যোগ্যতা এবং পরিশ্রমের ওপর ভর করে তিনি আজ মারাঠি চলচ্চিত্র জগতে এক পরিচিত নাম। তার এই সাহসী পদক্ষেপ এবং অকপট স্বীকারোক্তি অনেককেই অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘটনাটি ২০০৯-২০১০ সালের। তখন সবেমাত্র অভিনয় জগতে পা রেখেছেন তেজস্বিনী। হাতে গোনা দুই-একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। আর্থিক অবস্থাও খুব একটা সচ্ছল ছিল না। সেই সময় পুনের সিংহগড় রোডের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়া থাকতেন তিনি। সেই বাড়ির মালিক, যিনি একজন কর্পোরেটরও ছিলেন, ভাড়ার পরিবর্তে তেজস্বিনীকে সরাসরি যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দেন।
সৌমিত্র পোটের পডকাস্ট 'মিত্রামহানে'-তে অতিথি হিসেবে এসে তেজস্বিনী তার জীবনের এই অন্ধকার অধ্যায়ের কথা জানান। তিনি বলেন, আমি যখন ভাড়ার টাকা দেওয়ার জন্য তার অফিসে যাই, তখন তিনি কোনো রকম রাখঢাক না করেই আমাকে সরাসরি প্রস্তাব দেন। বাড়ির মালিকের এমন কুপ্রস্তাবে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিনেত্রী। তেজস্বিনীর কথায়, তার টেবিলে রাখা জলের গ্লাসটা আমি তুলে নিয়ে তার মুখে ছুঁড়ে মেরেছিলাম।
শুধু তাই নয়, তেজস্বিনী সেদিন ওই ব্যক্তিকে মুখের উপর জবাব দিয়েছিলেন, আমি এই পেশায় এসব করার জন্য আসিনি, নাহলে আমার ভাড়া বাড়িতে থাকতে হতো না। নিজের বাড়ি-গাড়ি সবই থাকত। অভিনেত্রী মনে করেন, তার পেশা এবং সেই সময়ের দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
এই ঘটনাটি তেজস্বিনীর জীবনে একটি বড় শিক্ষা হয়ে রয়েছে। তিনি তার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এই কঠিন পরিস্থিতি তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। নিজের যোগ্যতা এবং পরিশ্রমের ওপর ভর করে তিনি আজ মারাঠি চলচ্চিত্র জগতে এক পরিচিত নাম। তার এই সাহসী পদক্ষেপ এবং অকপট স্বীকারোক্তি অনেককেই অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।