পবায় আলু সংরক্ষণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ: হিমাগার মালিকদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

আপলোড সময় : ১৫-১১-২০২৫ ০৮:২৩:২৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৫-১১-২০২৫ ০৮:২৩:২৭ অপরাহ্ন
রাজশাহীর পবা উপজেলায় আলু সংরক্ষণ সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের অনিয়ম,হিমাগার ভাড়ার অস্বচ্ছ নীতিমালা এবং ক্ষতির শিকার হয়েও যথাযথ ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগে একজোট হয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। 

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার তকিপুরে জেলা আলু ও কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব সমস্যা সমাধানের জোর দাবি জানান তারা।

সমিতির সভাপতি মোঃ আহাদ আলী শাহের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিঠু আহম্মেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় পবা অঞ্চলের শতাধিক আলু ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে মো. আহাদ আলী শাহ বলেন, রাজশাহীর হিমাগারগুলোতে প্রতি বছর যে হারে ভাড়া বাড়ানো হয়, তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কেজি হিসেবে ভাড়া আদায়ের নিয়ম দেশের অন্য কোথাও নেই, কেবল রাজশাহীতেই আমাদের ওপর এটি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কৃষকের উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ করে হিমাগার মালিকরা বিপুল মুনাফা করলেও আমরা ব্যবসায়ীরা ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এখন থেকে হিমাগারের কোনো ত্রæটির কারণে আলু নষ্ট হলে মালিকপক্ষকে তার সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে এবং ১০০% ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কোনো ব্যবসায়ী আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে খালি হাতে ফিরবে না। অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিঠু আহম্মেদ বলেন, মালিকপক্ষের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সুযোগ না দিয়ে প্রায়ই ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়। এই অস্বচ্ছ ব্যবস্থাপনার দিন শেষ। আগামীতে সব চুক্তি, বিল-ভাউচার এবং অনুমতিপত্রে অবশ্যই হিমাগার মালিকের স্বাক্ষর থাকতে হবে। তিনি আরও যোগ করেন, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে অবহেলা, বিদ্যুৎ চলে গেলে সময়মতো জেনারেটর না চালানো এবং ভুল ব্যবস্থাপনার কারণে প্রতি মৌসুমে বিপুল পরিমাণ আলু নষ্ট হয়। এই ক্ষতির দায় ব্যবসায়ীরা আর বহন করবে না।

সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা এক সুরে অভিযোগ করেন , রাজশাহীর হিমাগারগুলোতে কোনো সরকারি মনিটরিং নেই। তারা জানান, একতরফাভাবে ভাড়া বাড়ানো এবং আলু ওঠানো-নামানোর শ্রমিক খরচসহ অন্যান্য চার্জ স্বচ্ছভাবে নির্ধারণ না করার মতো সিদ্ধান্তগুলো আর মেনে নেওয়া হবে না।

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরা হয়:

হিমাগারের ত্রুটিতে আলু নষ্ট হলে ১০০% ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

ভাড়া বাড়ানোর আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

আলু ওঠানো-নামানোর শ্রমিক খরচ এবং অন্যান্য চার্জ স্বচ্ছভাবে নির্ধারণ করতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন মো. কামরুল ইসলাম, মো. মাইনুল ইসলাম, আলহাজ্ব কাজেম উদ্দিন, আব্দুল গাফ্ফার, সামশুদ্দিন, আব্দুল হক, মোজাহার আলী, রহমান আলী, দুলাল আলী, বিসনা মন্ডল, হাসিবুর রহমান, মোজাফ্ফর হোসেন, আনারুল ইসলাম, রাকেশ কুন্ডু, বুলবুল ইসলাম, আলহাজ্ব সমশের আলী, রজব আলী, লিমন আলী, মাহবুর আলী, আলহাজ্ব ফজলুর রহমান, মিজানুর রহমান, রনি ইসলাম, আলিম উদ্দিন, আফজাল হোসেন, উজ্জল, বিন্না দাস, রেন্টু, মাসুদ, ফারুক এবং কাউছার।

ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং আলুর বাজার স্থিতিশীল রাখতে তারা হিমাগার মালিক ও কৃষকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে আগ্রহী। দাবি আদায় না হলে আগামীতে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার ইঙ্গিত দেন তারা।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]