তানোরে এনজি কর্মীদের চাপে হার্ট এ্যাটাকে ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর অভিযোগ

আপলোড সময় : ৩০-০৫-২০২৫ ১০:৪২:৩৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ৩০-০৫-২০২৫ ১০:৪২:৩৭ অপরাহ্ন
রাজশাহীর তানোরে আশা ও ব্র্যাক এনজিও'র ঋণের কিস্তি দিতে বিলম্ব হওয়ায়, এনজিও কর্মীর হুমকি-ধমকিতে এক ঋণ গ্রহীতা দিনমজুর গ্রাহকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার  দিবাগত রাতে কলমা ইউপির রামনাথপুর গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম এমাজ উদ্দিন তিনি রামনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার  সন্ধ্যা থেকে দিনমজুর এমাজ উদ্দীনের বাড়িতে অবস্থান করে এনজিও কর্মীরা কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেয়া শুরু করেন।এক পর্যায়ে তারা তাকে পুলিশের দেবার ও ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে যাবার হুমকি দেন বলে শোনা যাচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন প্রথমে আশা এনজিও বিল্লি হাট ব্র্যাঞ্চের ম্যানেজার ইব্রাহিম  চাপ দেয়া শুরু করেন। পরবর্তীতে  ব্র্যাক এনজিও'র দরগাডাঙা শাখার মাঠ কর্মী সঞ্জয় কুমার কিস্তি পরিশোধের জন্য বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়া শুরু করে। এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে দিনমজুর এমাজ উদ্দীন বুধবার ধান বিক্রি করে কিস্তির টাকা দিবেন বলে জানান। কিন্তু এনজিও'র ম্যানেজার ও মাঠকর্মী কোন ভাবেই মানতে চায়নি। তারা ওই রাতেই কিস্তির টাকার জন্য বলপ্রয়োগসহ নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাদের চাপ সইতে না পেরে তাদের সামনেই স্ট্রোক করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এমাজ উদ্দীন। স্ট্রোক করার পরও চাপ দেয় টাকার জন্য। কিন্তু এমাজের মুখ থেকে কথা বের হয় না। তিনি মারা গেছেন বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন দুই এনজিওর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলে গ্রামবাসির মাঝে আলোচনা রয়েছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহতের এক স্বজন বলেন,তারা ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চান।

এবিষয়ে আশা এনজিওর বিল্লি হাট শাখার মানেজার ইব্রাহিমের সঙে মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা চাপ তেমনভাবে দিইনি। চাপ দিয়েছিল ব্র্যাক এনজিওর লোকজন। সে মারা যাওয়ার পর তার পরিবারের সঙে বসে সব মিমাংসা করা হয়েছে।

তবে কলমা এলাকার আনোয়ার নামের একজন ফোন দিয়ে জানান, আশা এনজিওর প্রচন্ড চাপ ছিল না, প্রচন্ড চাপ ছিল ব্র্যাক এনজিওর। 

এবিষয়ে ব্র্যাক এনজি দরগাডাঙ্গা হাট শাখার মানেজার রায়হান উদ্দিনের সঙে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার বিমা করা ছিলো মৃত্যুর পর দাফন কাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। টাকা দেয়ার সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন এবং নিয়ম অনুযায়ী তার যাবতীয় ঋণ মাফ করা হয়েছে।তিনি বলেন, এমাজ উদ্দীন অত্যান্ত নম্রভদ্র মানুষ ছিলেন। সে আমাদের ভালো গ্রাহক ছিল। আমরা কখনো তাকে চাপ দিইনি।

এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, ঘটনা অজানা। তবে মৃতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]