বিশ্বে ক্ষুধার্তদের খাবার সরবরাহে ১৩ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি: জাতিসংঘ

আপলোড সময় : ১৯-১১-২০২৫ ১২:১৮:০৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৯-১১-২০২৫ ১২:১৮:০৯ অপরাহ্ন
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে বলেছে, অর্থায়ন কমে যাওয়ায় ২০২৬ সালে তীব্র ক্ষুধার মুখে থাকা ৩১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশকে খাদ্য সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়বে। 

রোম থেকে এএফপি জানায়, মঙ্গলবার ডব্লিউএফপির এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তার অর্থায়ন হ্রাস পাওয়ায় ডব্লিউএফপি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (প্রায় ১১ কোটি) ক্ষুধার্ত মানুষকে খাদ্য সহায়তায় অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য হচ্ছে।

এতে আনুমানিক ১৩ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। তবে সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, ‘বর্তমান অর্থায়নের পূর্বাভাস অনুযায়ী ডব্লিউএফপি হয়তো লক্ষ্যকৃত অর্থের অর্ধেকের কাছাকাছি পাবে।’

ডব্লিউএফপি’র সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর অধীনে বিদেশি সহায়তা কমিয়ে দিয়েছেন। অন্যান্য বড় দাতা, বিশেষ করে কিছু ইউরোপীয় অনেক দেশও তাদের মানবিক বাজেট কমিয়েছে।

ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, সংঘাত, চরম আবহাওয়া এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ২০১৯ সালের তুলনায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৩১ কোটি ৮০ লাখে পৌঁছেছে।

জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এ বছর গাজা ও সুদানের কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে। ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন এটিকে ‘একবিংশ শতাব্দীতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।

২০২৬ সালের গ্লোবাল আউটলুক প্রতিবেদনের ভূমিকায় তিনি লিখেছেন, বিশ্বের প্রতিক্রিয়া ‘ধীর, বিচ্ছিন্ন এবং অর্থায়নহীন’ রয়ে গেছে।

তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী সহায়তা এখন মোট চাহিদার অর্ধেকেরও কম পূরণ করছে। খাদ্য সহায়তায় ব্যাপক কাটছাঁট হয়েছে। প্রায় সব কার্যক্রমেই খাদ্য ও নগদ অর্থ কমাতে হয়েছে এবং কোন ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া হবে তা অগ্রাধিকার দিতে হয়েছে।’

একই সময়ে সহায়তা কর্মীদের ওপর হামলা বেড়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবহেলা প্রকাশ করছে।

২০২৬ সালে ক্ষুধার মুখে থাকা মানুষের মধ্যে ৪১ মিলিয়নকে জরুরি বা তারও বেশি সংকটাপন্ন অবস্থায় শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘের দুটি খাদ্য সংস্থা-ডব্লিউএফপি এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) হাইতি থেকে দক্ষিণ সুদান পর্যন্ত ১৬টি ‘ক্ষুধার হটস্পট’ চিহ্নিত করেছে। তারা বলেছে, তহবিল ঘাটতি ইতোমধ্যেই পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

এক যৌথ প্রতিবেদনে সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ২৯ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে তারা এখন পর্যন্ত মাত্র ১০.৫ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]