উৎসব না করার নির্দেশ তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ

আপলোড সময় : ২০-১১-২০২৫ ১২:৩৫:২৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২০-১১-২০২৫ ১২:৩৫:২৭ অপরাহ্ন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ। তবে গত বছরের মতো এবারও কোনো ধরনের অনুষ্ঠান বা উৎসব না করতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকাসহ দেশব্যাপী দলের সব ইউনিটের নেতাকর্মীদের দলীয় এই নির্দেশনা লঙ্ঘন না করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

তারেক রহমান ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। তার ডাকনাম ‘পিনো’। তারেক রহমান মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে বগুড়া জেলার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন। আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনে যোগ দেওয়ার আগেই তিনি রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারেক রহমান তার মা খালেদা জিয়ার সহচর হিসাবে সারা দেশে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও মায়ের পাশাপাশি তারেক রহমান দেশব্যাপী নির্বাচনি প্রচারণা চালান। এই নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতির প্রথম সারিতে তার সক্রিয় আগমন ঘটে। ২০০২ সালে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এরপরই দেশব্যাপী দলের মাঠপর্যায়ের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। মূল সংগঠনসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে তৃণমূল সভা আয়োজন করেন। মূলত এই জনসংযোগ কার্যক্রমের ফলে দলের নেতাকর্মীদের তরুণ অংশটির মাঝে তারেক রহমান শুধু প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের পরিচিতি থেকে বেরিয়ে এসে দলের একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। তার এই সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিরোধী পক্ষ অপপ্রচার শুরু করে। তবে এর কোনোটারই ভিত্তি ছিল না।

তবে ওই অপপ্রচারের সুদূরপ্রসারী ফলস্বরূপ ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময়ে তাকে কারাগারে যেতে হয়, নির্যাতনের শিকার হতে হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনেও যেতে হয়। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে তিনি দল পরিচালনায় সম্পৃক্ত হতে থাকেন। দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝেও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেন তারেক রহমান। তবে সেখানেও বাধার সম্মুখীন হতে হয়। আওয়ামী লীগ সরকার উচ্চ আদালতের মাধ্যমে এক আদেশে তার বক্তব্য-বিবৃতিও প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যা গত বছরের ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের আগ পর্যন্ত ছিল।

২০০৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে এবং ২০১৬ সালে ৬ষ্ঠ কাউন্সিলে তারেক রহমান দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে যুক্তরাজ্য থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সেখান থেকে সব সময় ভার্চুয়ালি দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন, নেতাকর্মীদের প্রতি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। আগামী মাসে পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে তিনি দেশে ফিরতে পারেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

তারেক রহমান ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান, সাবেক যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের মেয়ে ডা. জোবাইদা রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের একমাত্র মেয়ে জাইমা রহমান সম্প্রতি লন্ডনের কুইনমেরি ইউনিভার্সিটি থেকে আইন শাস্ত্রে ল’ ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে যুক্তরাজ্য থেকেই তারেক রহমান সব সময় ভার্চুয়ালি দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের গত প্রায় ১৬ বছর বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা, খুন-গুম-নির্যাতন সত্ত্বেও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার কারণে দল ছিল ঐক্যবদ্ধ। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের উৎখাতের পর তিনি জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রয়াস চালাচ্ছেন। বিভিন্ন বক্তব্যে তিনি ঐক্যের বার্তা দিচ্ছেন, পেশিশক্তির উত্থানের পরিবর্তে জনমানুষের পক্ষে কাজ করে জনসমর্থন সৃষ্টির বার্তা দিচ্ছেন। জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিএনপিরই প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তিনি বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের প্রতি নৈতিক রাজনৈতিক চর্চার কঠোর বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। তার এ উদ্যোগ ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিবেশের গুণগত পরিবর্তনের গোড়াপত্তন করবে বলে মনে করেন নেতারা।

তারা জানান, বিএনপির মতো সর্ববৃহৎ দলের গুণগত পরিবর্তনের উদ্যোগ অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তিসহ জাতীয় রাজনৈতিক পরিসীমায় এক নবতর সাম্য ব্যবস্থার সৃষ্টি করবে।

তার দূরদর্শী রাজনীতির ভূয়সী প্রশংসা করে নেতারা বলেন, গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ইতিবাচক ও পরিবর্তনের রাজনীতি জাতির সামনে নতুনভাবে আশার সঞ্চার করছে। মানুষের মন জয় করতে তিনি নিচ্ছেন একের পর এক যুগান্তকারী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। তার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও রাষ্ট্র নিয়ে ভাবনা জনগণ গ্রহণ করেছে। বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রেখে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হিসাবে এক অনন্য জায়গায় নিয়ে গেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এর সুফল পাবেন দেশবাসী।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]