ডিম খেলে কী কী উপকার হতে পারে তার দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। তার অনেকগুলি সাধারণের জানা। তবে তার বাইরে নিয়মিত ডিম খাওয়ার কিছু কম জানা বা কম আলোচিত গুণও রয়েছে। যার একটি মেধা বৃদ্ধি। চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদদের কথা থেকে জানা যাচ্ছে, সন্তানের জন্মের আগে তার মেধা বৃদ্ধির কাজ শুরু করতে পারে ডিম। আবার নিয়মিত ডিম খেলে তা মেধা বৃদ্ধি করতে পারে প্রাপ্তবয়স্কদেরও। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু গুণ রয়েছে, যা নিয়ে সচরাচর আলোচনা হয় না।
ডিমের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করেছেন ভবেশ গুপ্ত নামে দিল্লির এক পুষ্টিবিদ। তিনি ইন্ডিয়ান ডায়েটেটিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। তাঁর অনুগামী তালিকায় রয়েছেন কঙ্কনা সেন শর্মা, রোহিত রায়ের মতো বলিউড তারকারা, রয়েছেন টলিউডের অভিনেতাও। ভার্গব বলছেন, ‘‘ডিম শুধু শরীরে প্রোটিনের জোগান দেয় না। তাতে ভিটামিন সি ছাড়া অল্প বিস্তর সব রকম ভিটামিন রয়েছে। রয়েছে শরীরের জন্য অতি জরুরি খনিজ এবং কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসও।’’ পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, অপুষ্টিতে ভোগা শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত ডিম খাওয়ানোর পরে শরীরের সব রকম পুষ্টির অভাব অনেকটা পূরণ হয়েছে। দূর হয়েছে অপুষ্টি।
ডিম নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা করেছেন দিল্লির এক চিকিৎসক শুভম বাৎস্যও। এক বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ওই চিকিৎসক এক জন খ্যাতনামী গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট। তিনি বলছেন, ‘‘প্রতি দিন ২-৩টি সেদ্ধ ডিম গোটা খাওয়া উচিত। কারণ, ডিম খেলে শরীরে কোনও ক্ষতি হয় না। ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে এই ধারণাও ভুল। বরং প্রতি দিন ৩টি ডিম গোটা খেলে শরীরে ১৮ গ্রাম উচ্চ মানের প্রোটিন যায়। আর যার মধ্যে কয়েকটি জরুরি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস হল কোলিন, লুটিন এবং জেক্সানথিন। এগুলি শরীরের যে উপকার করে, তা সচরাচর সব খাবারে মেলে না।’’
নিয়মিত ২-৩টি সেদ্ধ ডিম গোটা খেলে কী উপকার হতে পারে?
১। ওজন কমবে: চিকিৎসক বাৎস্য জানাচ্ছেন, তিনি নিজে ওই রুটিন মেনে ২৫ কেজি ওজন কমিয়েছেন। কারণ ১টি সেদ্ধ ডিমে রয়েছে ৭৮ কিলোক্যালোরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ০.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। যদি প্রতি দিন প্রাতরাশে কেউ ২-৩টি ডিম সেদ্ধ করে খেতে পারেন তবে তার পেট ভর্তি থাকবে দীর্ঘ ক্ষণ। আবার শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাবে।
২। মেধা বৃদ্ধি হবে: পুষ্টিবিদ ভার্গব অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের দু’টি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, ডিমে থাকা কোলিন মেধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই মহিলারা যদি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিয়মিত ডিম খান, তবে তার প্রভাব পড়বে সন্তানের মস্তিষ্কেও। মস্তিষ্কের বিকাশ ভাল হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও কোলিন একই রকম উপকারী।
৩। লিভার ভাল রাখে: ডিমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট লুটিন এবং জেক্সানথিন লিভারকে দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলেও ডিম উপকারে লাগতে পারে। কারণ ডিম লিভারকে ফ্যাটমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
৪। চোখের জন্য উপকারী: ডিমের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চোখ ভাল রাখতেও সাহায্য করে। এগুলি চোখে ক্যাটারাক্ট জমতে দেয় না। ব্লু লাইটের সমস্যা থেকে চোখকে বাঁচানোর জন্য যে ‘প্রোটেকলিভ লেয়ার’-এর প্রয়োজন হয়, তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডিমে থাকা ভিটামিন এ রেটিনার স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
ডিমের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করেছেন ভবেশ গুপ্ত নামে দিল্লির এক পুষ্টিবিদ। তিনি ইন্ডিয়ান ডায়েটেটিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। তাঁর অনুগামী তালিকায় রয়েছেন কঙ্কনা সেন শর্মা, রোহিত রায়ের মতো বলিউড তারকারা, রয়েছেন টলিউডের অভিনেতাও। ভার্গব বলছেন, ‘‘ডিম শুধু শরীরে প্রোটিনের জোগান দেয় না। তাতে ভিটামিন সি ছাড়া অল্প বিস্তর সব রকম ভিটামিন রয়েছে। রয়েছে শরীরের জন্য অতি জরুরি খনিজ এবং কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসও।’’ পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, অপুষ্টিতে ভোগা শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত ডিম খাওয়ানোর পরে শরীরের সব রকম পুষ্টির অভাব অনেকটা পূরণ হয়েছে। দূর হয়েছে অপুষ্টি।
ডিম নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা করেছেন দিল্লির এক চিকিৎসক শুভম বাৎস্যও। এক বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ওই চিকিৎসক এক জন খ্যাতনামী গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট। তিনি বলছেন, ‘‘প্রতি দিন ২-৩টি সেদ্ধ ডিম গোটা খাওয়া উচিত। কারণ, ডিম খেলে শরীরে কোনও ক্ষতি হয় না। ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে এই ধারণাও ভুল। বরং প্রতি দিন ৩টি ডিম গোটা খেলে শরীরে ১৮ গ্রাম উচ্চ মানের প্রোটিন যায়। আর যার মধ্যে কয়েকটি জরুরি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস হল কোলিন, লুটিন এবং জেক্সানথিন। এগুলি শরীরের যে উপকার করে, তা সচরাচর সব খাবারে মেলে না।’’
নিয়মিত ২-৩টি সেদ্ধ ডিম গোটা খেলে কী উপকার হতে পারে?
১। ওজন কমবে: চিকিৎসক বাৎস্য জানাচ্ছেন, তিনি নিজে ওই রুটিন মেনে ২৫ কেজি ওজন কমিয়েছেন। কারণ ১টি সেদ্ধ ডিমে রয়েছে ৭৮ কিলোক্যালোরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ০.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। যদি প্রতি দিন প্রাতরাশে কেউ ২-৩টি ডিম সেদ্ধ করে খেতে পারেন তবে তার পেট ভর্তি থাকবে দীর্ঘ ক্ষণ। আবার শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাবে।
২। মেধা বৃদ্ধি হবে: পুষ্টিবিদ ভার্গব অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের দু’টি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, ডিমে থাকা কোলিন মেধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই মহিলারা যদি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিয়মিত ডিম খান, তবে তার প্রভাব পড়বে সন্তানের মস্তিষ্কেও। মস্তিষ্কের বিকাশ ভাল হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও কোলিন একই রকম উপকারী।
৩। লিভার ভাল রাখে: ডিমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট লুটিন এবং জেক্সানথিন লিভারকে দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলেও ডিম উপকারে লাগতে পারে। কারণ ডিম লিভারকে ফ্যাটমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
৪। চোখের জন্য উপকারী: ডিমের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চোখ ভাল রাখতেও সাহায্য করে। এগুলি চোখে ক্যাটারাক্ট জমতে দেয় না। ব্লু লাইটের সমস্যা থেকে চোখকে বাঁচানোর জন্য যে ‘প্রোটেকলিভ লেয়ার’-এর প্রয়োজন হয়, তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডিমে থাকা ভিটামিন এ রেটিনার স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে।