রাজশাহীতে পরকীয়ায় মা’ চলে যাওয়ায় বাবার বিয়ে দিলো স্কুল পড়ুয়া সন্তানরা


মঈন উদ্দিন , আপডেট করা হয়েছে : 08-10-2022

রাজশাহীতে পরকীয়ায় মা’ চলে যাওয়ায় বাবার বিয়ে দিলো স্কুল পড়ুয়া সন্তানরা

সন্তানের চোখে বাবাই হচ্ছে সবচেয়ে কাছের পৃথিবী। সেই শৈশবে বাবার আঙ্গুল ধরে শুরু হয় পথচলা, কৈশোরের দুরন্তপনার সঙ্গী, যৌবনে সাহসের জোগানদার আর সংসারজীবনে একজন দায়িত্ববাান পুরুষের ভূমিকা। একজন আদর্শবান বাবার চোখেই তাঁর সন্তান দেখতে শেখে পৃথিবীর আলো আর অন্ধকারের মতো মানুষের জীবনের সুখ–দুঃখের ক্ষণস্থায়ী বিচরণ। এবার বাবার দু:খ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে স্কুল পড়ুয়া দুই সন্তান ধুমধামের মাধ্যমে বিয়ে দিলেন বাবার।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর দুর্গাপুরে দুই স্কুল ছাত্র শিশু সন্তানকে রেখে মা’ অন্যে পুরুষের সাথে পরকীয়া করে চলে গিয়ে বিয়ে করে সংসার করছে। এতে সন্তানদের মুখের দিকে চেয়ে পিতা শুধুই চোখের পানি ফেলতেন এবং দু:শ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে  চতুর্থ শ্রেণীতে ও প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া দুই ছেলে তাদের বাবার বিয়ে দিলেন ব্যাপক ধুমধামের মাধ্যমে। সন্তানরা বলল “ আমাদের বাবা, আমাদের পৃথিবী, আর পৃথিবীর মুখ অন্ধকার থাকলে, আমাদের জীবনও অন্ধকার হয়ে যাব” তাই বাবার বিয়ে দিয়ে নতুন মা’ নিয়ে এনেছি।

স্থানীয়রা জানান, জেলার দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের কুশাডাঙ্গা গ্রামের আঃ রহিম উদ্দিনের ছেলে খায়রুল ইসলাম বিয়ে করেছিলেন একই উপজেলার ৭ নং জয়নগর ইউনিয়নের নুনামাটিয়াল গ্রামের মোঃ মিস্টার আলীর মেয়ে মোছাঃ মিরা খাতুনের সাথে প্রায় একযুগ আগে বিয়ে হয়েছিল। খায়রুল ও মিরা তাদের সংসার ভালোই চলছিল তাদের সংসারে দুইটি ছেলে সন্তান জন্ম হয় প্রথম সন্তান মোহাম্মদ মিঠুন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়েন দ্বিতীয় সন্তান মোঃ এয়ামিন প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। এরমধ্যে মিরা বেগম একসময়ে অমিত হাসান নামের যুবকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় প্রায় দুই মাস আগে মিরা তার স্বামী সন্তান ও সংসার রেখে একই অমিত হাসানের বাড়িতে চলে গিয়ে অমিতকে বিয়ে করে।

পরকীয়ায় মা অন্যের সাথে চলে যাওয়ায় সন্তানরা পিতার সাথে জেদ ধরে “আমাদেরকে নতুন মা’ এনে দাও’। তাদের বাবাকে নতুন করে বিয়ের জন্য বারবার চাপ দিতে থাকে। একসময়ে পরিবারের সকলের সঙ্গে পরামর্শে বিয়ের জন্য রাজি হয়ে বাবা খায়রুল।  শুরু হয় পাাত্রি দেখা কাজ, একপর্যায়ে গত বুধবার উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুর গ্রামের মৃত বাদলের মেয়ে মোছাঃ মৌসুমির সাথে বিয়ে হয়। পিতার বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যাপক আনন্দ ও ধুমধাম করে দুই সন্তান।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]