আল্টিমেটাম দিয়ে কাজে ফিরলেন রামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকর, পরবর্তী কর্মসূচি শনিবার


মঈন উদ্দীন: , আপডেট করা হয়েছে : 20-10-2022

আল্টিমেটাম দিয়ে কাজে ফিরলেন রামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকর, পরবর্তী কর্মসূচি শনিবার

আল্টিমেটাম দিয়ে কাজে ফিরলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা কাজে ফেরেন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তারা হাসপাতাল পরিচালককে তারা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য জানান রামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, আজ মধ্যরাত পযর্ন্ত চলবে ধর্মঘট। হাসপাতাল পরিচালক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে তারা শুক্রবার (২১ অক্টোবর) থেকে কাজে ফেরার কথা জানিয়েছেন।

আগামী শনিবার (২২ অক্টোবর) তারা এ নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে  ওই কর্মসূচি থেকে পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

জানা গেছে, রামেক হাসপাতালে তিন শিফটে ২৯০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক চিকিৎসা সেবায় নিযুক্ত। গত বুধবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টা থেকে দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু হয়। 

বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন হাসপাতাল পরিচালক।

এর আগে বুধবার মধ্যরাতে রামেক হাসপাতাল, রাবি এবং নগর পুলিশের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে ঘটনার তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে বুধবার মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ফিরে যান রাবি শিক্ষার্থীরা। 

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দুইটা দাবি জানিয়েছে। সেগুলো হলো, হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও নিরাপদ চিকিৎসা দেওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। রোগীদের যাতে কষ্ট না হয় আপাতত সেটাকে তারা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বলে জানান পরিচালক।

জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে যান শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ার। তিনি ৩৫৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন। মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দ্রুত রামেক হাসপাতালে নেন শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আহত শাহরিয়ারকে জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসক আইসিউতে নিতে বলেন। কিন্তু সেখানে নিতে চিকিৎসকের রেফারেন্স দিতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর জরুরি বিভাগেই মারা যান ওই শিক্ষার্থী। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। ওই সময় দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীরা নিরব ভূমিকায় ছিলেন।

চিকিৎসকদের হামলায় চার রাবি শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের বাইরের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতাল পরিচালকের দপ্তরে ভাঙচুর চালান। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গেও তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হলেও ঘটনার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অভিযোগ রাবি শিক্ষার্থীরাই তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় দুই দফা দাবিতে তারা ধর্মঘট শুরু করেন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]