রাজশাহীতে ছাগল চুরির দায়ে আটকদের ‘ঘুষের বিনিময়ে’ ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে


নিজস্ব প্রতিবেদক , আপডেট করা হয়েছে : 06-11-2022

রাজশাহীতে ছাগল চুরির দায়ে আটকদের ‘ঘুষের বিনিময়ে’ ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে

ছাগল চুরি’র দায়ে আটক তিন কিশোরকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে থানা থেকে বেরিয়ে যায় ওই তিন কিশোর। তারা গোদাগাড়ী উপজেলার বাসিন্দা। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ছিঁচকে চুরির অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরের দিকে গোদাগাড়ীর জৈটা বটতলা এলাকা থেকে একটি ছাগল ভ্যানে তুলে নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাজশাহী নগরে যাচ্ছিল তিন কিশোর।

দামকুড়া থানার টহল দলের সদস্যরা রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের ছয়ঘাটি এলাকায় ন্যাশনাল ফিলিং স্টেশনের সামনে তাদের আটকে দেন। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে ছাগল চুরির বিষয়টি। টহলদলের নেতৃত্বে ছিলেন দামকুড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক আরিফ হোসেন-২।

স্থানীয়রা জানান, আটকের পর দীর্ঘক্ষণ ঘটনাস্থলেই তিন কিশোরকে আটকে রেখেছিল পুলিশ। এর মধ্যেই ফোনে তিন কিশোরের স্বজনদের ডেকে আনেন এএসআই। তিনজনের প্রত্যেকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেওয়ার ‘ পরিকল্পনা’ হয়। কিন্তু এর মধ্যেই কিন্তু টহলরত বিজিবি সদস্যরা আসায় পুলিশের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পরে তাদের থানায় নেওয়া হয়।

একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছে, থানায় নিয়ে তিন কিশোরের স্বজনদের সঙ্গে দেনদরবার করেন ওসি মাহবুব আলম নিজেই। তার নির্দেশে ছাগলের মালিককেও থানায় আনেন তিন কিশোরের স্বজনরা। মামলা না দিয়ে শেষে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে মধ্যরাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তখনই ছাগলটি মালিকের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়। টাকার লেনদেন হয় এএসআই আরিফের মাধ্যমে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই আরিফ হোসেন বলেন, আটকের পর তিন কিশোরকে থানায় নেওয়া হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু ওসির নির্দেশে রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন এএসআই আরিফ।

আটক তিন কিশোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিলেও ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন মাহবুব আলম। তিনি দাবি করেন, ছাগলের মালিক তিন কিশোরের স্বজন। তিনি এ নিয়ে মামলা করতে চাননি। শেষে রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

অর্থের বিনিময়ে থানা থেকে আটকদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশের কাশিয়াডাঙ্গা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার বিভূতি ভূষন বানার্জী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]