চারঘাটে স্থল বন্দরের দাবিতে সহস্র স্থানীয়দের মানববন্ধন


আতিকুর রহমান আশা (চারঘাট প্রতিনিধি): , আপডেট করা হয়েছে : 12-11-2022

চারঘাটে স্থল বন্দরের দাবিতে সহস্র স্থানীয়দের মানববন্ধন

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরীয়ার আলমের নিজ উদ্দ্যোগে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় একটি স্থল বন্দর স্থাপন করার প্রস্তাব ছিল পূর্ব থেকেই।

শনিবার সকালে উপজেলার সারদা ট্রাফিক মোড়ে সহস্রাধিক স্থানীয়রা মানববন্ধনের মাধ্যমে স্থল বন্দরের দাবির সূচনা করেন। 

জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি ও রাজশাহী ক্যাডেট কলেজসহ সরকারী ২টি প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ পরিচিত রয়েছে। কিন্ত উন্নয়নের দিক থেকে ঊনবিঃশতাব্দির ন্যায়। বর্তমান সরকার দেশকে উন্নয়ন দেশে উন্নতি করেছেন। ওই সময় চারঘাটে কর্মসংস্থানের জন্য নেই কোন প্রতিষ্ঠান, আধুনিকতার ছোঁয়া নিভু নিভু ও নিস্তব্ধতায় হতবাক স্থানীয়রা। ভারতের গঙ্গা আর এদেশের পদ্মা দুই দেশের অন্তরা। রাজশাহী তার কোল ঘেসে দাড়িয়ে সেই জন্মলংগ্ন থেকে। পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতের প্রস্তাবিত স্থান কাগমাড়ির সাহেব নগরের সঙ্গে সারদা ট্রাফিক মোড়ের দূরত্ব মাত্র ৫-৬ প্রায় কিঃমিঃ সময় অনুমান ৩০ মিনিট। ওই স্থানটি এক সময় ভারতের জলঙ্গী থানাধীন ছিল, যা বর্তমান সাহেব নগর থানার অধিনে রয়েছে। সেই সূত্র ধরে স্থল বন্দরটি সারদা ট্রাফিক মোড় এলাকায় স্থাপনার জন্য দাবি জানায় স্থানীয়রা। 

স্থানীয়দের পক্ষ থেকে মাসুদ রানা চারঘাট রিপোটার্স ইউনিটিকে জানান, বর্তমান সরকার যদি সারদার ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন এলাকাটি নির্বাচন করেন তাহলে সময়, অর্থ দুটই কম লাগবে। অন্যদিকে প্রস্তাবিত স্থানে বন্দরটি স্থাপন করলে সরকারকে বহুগুনে অর্থ ব্যায়ে জমি অধিকরন করতে হবে। এই দাবি বাস্তবায়েন লক্ষে রাজনৈতিক ব্যাক্তি, শিক্ষক, নারী, শিশু, ছাত্র সমাজসহ সহস্রাধিক মানুষ মানবন্ধনে উপস্থিত হয়।

স্থল বন্দর স্থাপনা নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনে জানান, চারঘাট উপজেলায় একটি স্থল বন্দর স্থাপনার জন্য তিনি নিজে বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়ে ছিলেন। যা স্থানীয়রা কখনও চিন্তা করতে পারেন নি। চারঘাট-বাঘা তথা রাজশাহী বাসির জন্য আর্শিবাদ হিসাবে কাজ করবে এই বন্দরটি। এই বিষয়ে ভারতের স্থানীয় সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে চিঠি দিয়েছেন, এখন দুই দেশের সরকারের সমিক্ষা পর্যায়ে আছে। এদেশে ভারত বডারহাট অনেক গুলো চালু হয়েছে এবং আরো কিছু চলু হচ্ছে। সেগুলোর উন্নয়ন প্রয়োজন এবং তার সাথে সোনা মসজিদ বন্দরের ভারত অংশে প্যাথনিটিজ উন্নয়ন প্রয়োজন। 

গত সেপ্টম্বর মাসে প্রধান মন্ত্রী ভারত সফর করেছিলেন। ওই সময় স্থল বন্দরের বিষয়টি অনেক উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। তারা যদি মনে করেন এই বন্দরের ফিজিবিলিটি আছে তখনি পরের ধাপে যাবে। তবে অবশ্যই জনগনের দাবি থাকলে অনেক কঠিন কাজ সহজ হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় অবিভিক্ত চারঘাট, বাঘা ও লালপুর মিলে যে থানা ছিল। সেটি ছিল বাংলাদেশের জেলা সদরের বাহিরে ২য় সর্বচ্চ মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান। এই মুক্তিযোদ্ধারা বেশির ভাগ ভারতের জলঙ্গী সাহেব পড়ায় প্রশিক্ষন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। যার কারনে সারদার মুক্তারপুর থেকে খুব কাছেই নদীর অপরাড়ের ভারতের সাগড়পারা। ওই স্থানটি ঐতিহাসিক বন্ধনের স্বাক্ষি হয়ে রয়েছে। পরিশেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্থানীয়দের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]