চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে নাসার ‘ওরিয়ন’


এম সিয়াম: , আপডেট করা হয়েছে : 26-11-2022

চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে নাসার ‘ওরিয়ন’

চাঁদে মানুষ নিয়ে যাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর্টেমিস মিশনের প্রথম ধাপ সফল হল। পৃথিবী থেকে যাত্রা করে চাঁদে পৌঁছে গেছে নাসার চন্দ্রযান। চাঁদের প্রায় ৪০ হাজার মাইল (প্রায় ৬৪ হাজার ৩৭৩ কিলোমিটার) ওপরে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে চন্দ্রযান ওরিয়ন। সেখান থেকে ছবি তুলে পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশনে পাঠাচ্ছে। মানুষ নিয়ে যাওয়ার আগে চাঁদের চারপাশে ঘুরে হালহকিকত খতিয়ে দেখে আসবে ওরিয়ন।

নাসা জানাচ্ছে, ঠিক যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেভাবেই চাঁদের কক্ষপথে ঢুকেছে ওরিয়ন। গতি কমিয়ে সুন্দরভাবে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে গেছে। এখন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে ছবি তোলাই তার কাজ। চাঁদের আঁধার পিঠে আবারও মানুষ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে নাসা। চাঁদের ঠিক কোন জায়গায় ল্যান্ডিং করার সুবিধা বেশি, মানুষ নিয়ে গেলে কোথায় নামবে রকেট, সেসব খোঁজ খবর নেবে ওরিয়ন।

৫৫ বছর আগে নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স আর এডুইন (বাজ) অলড্রিনের মতো খুব অল্প সময়ের জন্য এ বার চাঁদের বুকে পা পড়বে না মানুষের। হয়ত টানা এক সপ্তাহের জন্য চাঁদের বুকে গবেষণা চালাবেন নভশ্চররা। আর্টেমিসের এমন অনেক পরিকল্পনাই আছে। সে জন্য  ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস)’ ও মহাকাশযান ‘ওরিয়ন’ তৈরি হয়েছে। ওরিয়ন তার কাজে সফল হয়েছে। এবার আর্টেমিসের পরবর্তী মিশন সাজাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

এই প্রোগ্রামের ম্যানেজার জন হানিকাট বলেছেন, আর্টেমিস-১ মিশনের পর থেকে পরবর্তী সবকটি মিশনই খুব জটিল হবে। চাঁদে মানুষ নিয়ে যাওয়ার বড় পরিকল্পনা আছে। লুনার স্টেশনের কাজও শেষ করতে হবে। তাই এমন রকেট দরকার ছিল যা উন্নত প্রযুক্তির ও শক্তিশালী হবে। সে জন্যই এসএলএস রকেট তৈরি করা হয়েছে। এর আরএস-২৫ ইঞ্জিন প্রচুর পরিমাণ শক্তি তৈরি করবে। খুব কম সময় চাঁদ বা অন্যান্য মহাকাশ অভিযানে পাড়ি দিতে পারবেন নভশ্চররা। পরের বছর ২০২৩ সালে হবে আর্টেমিস-২ মিশন। তাতে মহাকাশযানে থাকবেন একজন মহাকাশচারী। তবে তিনি মহাকাশযান থেকে বেরবেন না। আর্টেমিস-৪ মিশন থেকে চাঁদের কক্ষপথে একটা স্থায়ী আস্তানা গড়ে তুলবে নাসা। লুনার স্টেশন হবে নভশ্চরদের নয়া ঠিকানা।

চাঁদের পাড়ায় বাড়ি হবে কি?

চাঁদের পিঠে (লুনার সারফেস) বাড়ি বানানোর সখ নাসার বহুদিনের। যার পোশাকি নাম হবে ‘লুনার স্পেস স্টেশন।’ পৃথিবীর জোরালো অভিকর্ষজ বলের মায়া কাটিয়ে মহাকাশযানকে চাঁদে পাঠানোর ঝক্কি অনেক। কাজেই লুনার স্পেস স্টেশন হলে সেখানে বসেই গবেষণা চালানো যাবে। আবার যান বানিয়ে যখন তখন পাঠিয়ে দেওয়া যাবে মহাকাশে।

লুনার স্পেস স্টেশন তৈরি হচ্ছে পৃথিবী থেকে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কিলোমিটার দূরে। নাসা জানিয়েছে, স্পেস স্টেশন বানানোর প্রাথমিক কাজ শেষ হবে ২৩ সালের মধ্যে। দ্বিতীয় পর্যায়, অর্থাৎ নভশ্চরদের নিয়ে পাকাপাকি ভাবে বাসযোগ্য আস্তানা গড়ে তোলার কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালের মধ্যেই।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]