গোমস্তাপুরে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 28-11-2022

গোমস্তাপুরে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সরকারি গাছ কেটে ফেলেছে হারুনুর রশিদ নামে এক ব্যক্তি। তার গাছ কাটার খবর বিভিন্ন মাধ্যমে পেয়ে সাংবাদিকগণ তথ্য সংগ্রহে গিয়ে এর সত্যতা পেয়েছে। তবে গাছ কাটায় অভিযুক্ত হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছেন। ইতিমধ্যে সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ ও কথিত সাংবাদিক দুলাল নামে দুইজনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত রেখেছেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের রতনপুর খাড়ি সংলগ্ন সাবেক সেনা সদস্য হারুনুর রশিদের জমির পাশে থাকা ইউক্যালিপটাশ গাছ কাটা হয়েছে। এতে দেখা যায় প্রায় ১৫ টি গাছ কাটা অবস্থায় জমিতে পড়ে আছে। তবে কয়েকটি গাছ সরানো হয়েছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকটি গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেখানে কাটা গাছের অংশও পড়ে রয়েছে।

সাবেক সেনা সদস্য ও গাছ কর্তনকারী হারুনুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমার পিয়ারা বাগানের পাশে লাগানো গাছগুলো বাগানের ক্ষতিকারক মনে হওয়ায় কেটে ফেলেছি। গাছ কাটার ব্যাপারে কারো অনুমতি নিয়েছেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,না কারো অনুমতি নেয়নি। তবে গাছের ডালপালা যেহেতু আমার পিয়ারা বাগানের ক্ষতি করছে । সেহেতু আমি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাকে ডাল কাটার অনুমতি দিয়েছিল। তবে তিনি কোন কর্মকর্তার নাম জানাতে পারেননি। এছাড়া তিনি গাছ কাটার বিষয়ে তার অপরাধ স্বীকার করেন। ইতিপূর্বেও গাছ কেটেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ ও কথিত সাংবাদিক দুলাল নামে কয়েকজন এসেছিল আমার কাছে। তারা রিপোর্ট করবে না বলে আমার কাছ‌ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। তিনি এ প্রতিবেদককেও টাকা দিয়ে ম্যানেজ‌ করার চেষ্টা করেন।

গোমস্তাপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি সরজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। এগাছগুলো বন বিভাগের নয়। তবে  গাছগুলো বিএমডিএ এর আওতাধীন। আমি ইতিমধ্যে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( বিএমডিএ) এর কর্মকর্তাকে মোবাইলে জানিয়েছি তাদের গাছে বলে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর গোমস্তাপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান,গাছকাটার বিষয়টি আমি জেনেছি। গাছগুলো বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর কি না তা জানার জন্য আমার অফিসের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর গাছ হলে গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]