রাজশাহী কারাগারে গোদাগাড়ীর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি রকিবর রহমান ওরফে ওকিবর এর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (চঃ দাঃ) মোঃ আব্দুল জলিল।
এর আগে, বুধবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১০টা ১ মিনিটে ওই আসামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তার বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতলা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
১৯৯৯ সালের একটি হত্যা মামলায় রকিবর রহমানের মৃত্যু দেন আদালত। এরপর তার প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নাকচ হলে বুধবার দিবাগত রাতে ফাঁসি কার্যকর করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফাঁসি কার্যকরের পর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ২ জানুয়ারি খোরশেদা খাতুন নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় খোরশেদার বাবা আব্দুল জব্বার সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন গোদাগাড়ী থানায়।
এ মামলায় শুনানি শেষে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালত ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট চার আসামের মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। তারা হলো, হেলাল উদ্দিন, রকিবর রহমান, লাল মোহাম্মদ ও বাছির উদ্দিন। তাদের মধ্যে বুধবার রাতে রকিবুর রহমানের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হলো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অসীম কান্ত পাল, কারা উপ-মহাপরিদর্শক, আব্দুল জলিল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মুহাম্মদ আব্দুর রকিব, পিপিএম বিশেষ পুলিশ সুপার আরএমপি, ডাঃ আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক, সিভিল সার্জন, রাজশাহী, সাবিহা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, রাজশাহী, মোঃ আব্দুল জলিল সিনিয়র জেল সুপার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান, সহকারী সার্জন কারা হাসপাতাল, ডাঃ মোঃ জুবায়ের আলম, সহকারী সার্জন কারা হাসপাতাল, মোঃ তারেক কামাল জেলার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার ও ডেপুটি জেলারগণ এবং ডিপ্লোমা নার্স প্রমূখ।