চুম্বনের অবাক করা ৭ উপকারিতা


ফারহানা জেরিন এলমা , আপডেট করা হয়েছে : 13-02-2022

চুম্বনের অবাক করা ৭ উপকারিতা

ভালোবাসার সপ্তাহ প্রায় শেষের দিকে। ১৩ ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বে পালিত হয় কিস ডে। এর পরের দিনই কাঙ্খিত ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসার দিবস। বিগত কয়েক বছরে দেশে বেড়েছে ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের প্রচার। এই সপ্তাহ জুড়ে চলে নতুনভাবে ভালোবাসা প্রকাশ। এমন করেই চলে আসে কিস ডে।

এদিন অনেকেই প্রিয় মানুষটিকে চুমু খান। চুম্বনের মাধ্যমেই হয়ে যায় ভালোবাসার প্রকাশ। চুম্বনই হয়ে ওঠে ভালোবাসার প্রতীক। এই চুম্বনে শারীরিক চাহিদার থেকে বিশ্বাসের অঙ্গিকারই বেশি জায়গা পায়। নতুন সম্পর্কে যাওয়া মানুষগুলোর কাছে দিনটি হয় একদম আলাদা অনুভূতির।

জানেন কি, চুম্বন বা চুমু আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী। একাধিক শারীরিক সমস্যার সমাধান করে চুম্বন। এ কথা অনেক আগেই দাবি করেছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। ব্রিটেনের ‘নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্স’এর বিজ্ঞানীদের দাবি, চুম্বন বা চুমু উচ্চ রক্তচাপ, অবসাদের মতো একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে নিমেষে।

গবেষণা বলছে, আধা ঘণ্টার চুমতে ৬৮ ক্যালোরি বার্ন হয়। এমনকি মার্কিন একদল গবেষকদের দাবি চুমু যদি বেশি তীব্র হয়, সে সময় যদি খুব দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস চলে, তাহলে ৯০ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরতে পারে।

ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, চুম্বনের ফলে শরীরে অ্যান্ডরফিন হরমোন বেড়ে যায়, যা ‘মেইনস্ট্রুয়াল পেইন’ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চুমুর রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা-

>> ব্রিটেনের ‘নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্স’এর বিজ্ঞানীদের দাবি, চুমু খেলে মস্তিষ্কে অ্যান্ডরফিন হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে যা শরীরের ব্যথা-বেদনা কমাতে সাহায্য করে। চুমু খেলে মাইগ্রেনের মতো মারাত্মক যন্ত্রণাও সহযেই কমে যেতে পারে।

>> চুম্বনের সময় মানব মস্তিষ্কে ডোপামিন আর সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে অবসাদ ও দুশ্চিন্তা কমে দ্রুত।

>> ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, চুম্বন বা চুমু আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপ ও অবসাদের মতো একাধিক সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে চুম্বন।

>> বিশেষজ্ঞদের মতে, চুম্বনের সময় আইজিই অ্যান্টিবডি কমে যায়। শুধু তাই নয়, হিস্টারিন হরমোনের ক্ষরণও কমে যায়। ফলে অ্যালার্জির প্রকপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

>> চুম্বনের সময় মুখের ৩৪টি পেশি ও ১১২টি পস্ট্রুয়াল পেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ কারণে ফেসিয়াল পালসি, মাসকুলার ডিসটোনিয়ার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।

>> মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও চুম্বন উপকারী। কারণ চুম্বনের সময় মুখের ভেতর প্রচুর পরিমাণে লালা নিঃসরণ হয়। একই সঙ্গে মুখের ভিতর নানা রকম উৎসেচক ক্ষরিত হয়।

>> চুম্বনের ফলে শক্তিশালী হয় ফুসফুস। নিয়মিত চুম্বনে ফুসফুস সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। সূত্র: জি নিউজ

রাজশাহীর সময় / এফ কে


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]