রাশিয়া দাবি করেছে, তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকার একটি হাসপাতালে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। এ হামলায় হাসপাতালটির নার্স, চিকিৎসক ও রোগীসহ আহত হয়েছে আরও ২৪ জন। এ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে দাবি করেছে মস্কো।
আল জাজিরা জানায়, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সৈন্যরা যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত হিমার্স রকেটের সাহায্যে এ হামলা চালিয়েছে। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) পূর্ব ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত লুহানস্কের ওব্লাস্ট অঞ্চলের নোভোআইদা শহরের একটি হাসপাতালে এ হামলা চালানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘একটি বহুল পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক চিকিৎসাকেন্দ্রে এমন ইচ্ছাকৃত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিঃসন্দেহে কিয়েভ সরকারের একটি গুরুতর যুদ্ধাপরাধ।’ রাশিয়ার এমন দাবির প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেন এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যারা এ অপরাধের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে খুঁজে বের করে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।’
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইউক্রেনের এ হামলায় সামরিক-বেসামরিক চিকিৎসাকর্মীসহ হাসপাতালটিতে কর্মরত অনেকেই, যারা দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালটিতে স্থানীয় লোকজন এবং সৈন্যদের চিকিৎসা করে আসছিল, তাদের অনেকেই হতাহত হয়েছেন।
এদিকে, এ হামলাকে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ বলে দাবি করলেও কিয়েভ এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা অনেক আগে থেকেই যুদ্ধাপরাধের দায়ে রুশ সৈন্যদের অভিযুক্ত করে আসছে। তাদের দাবি, রাশিয়া বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে তাদের হতাহত করেছে। তবে রাশিয়া বরাবরই তা অস্বীকার করেছে।