জাপান-বাংলাদেশের মধ্যে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 02-02-2023

জাপান-বাংলাদেশের মধ্যে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
গতকাল বুধবার সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান এবং বাংলাদেশের মধ্যে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করতে দুই দেশ একত্রে কাজ করছে। মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে জাপান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বৈঠকে জাপানের সহায়তায় চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।

অপর দিকে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশেনের সঙ্গে জাপানি শিল্পপ্রতিষ্ঠান মিতসুবিশির সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশে মোটরগাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিতে জাপানের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। গতকাল শিল্পমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহŸান জানান। জাপানি রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে কাজ করছেন বলে শিল্পমন্ত্রীকে জানান। এ ছাড়া ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার আদলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আরেকটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন শিল্পমন্ত্রী। জাপানি রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার প্রতিশ্রæতি দেন। শিল্পমন্ত্রী জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী জাপান সফরের সময় জাপানি ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ সংক্রান্ত সহযোগিতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করা হয়। জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অতীতে যেভাবে পাশে থেকেছি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রেও সেভাবে পাশে থাকবো। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯ (দি হংকং কনভেনশন) এর শর্ত প্রতিপালনের জন্য জাপান সম্ভাব্য সব রকমের সহযোগিতা করবে বাংলাদেশকে।

তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুÐে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাসিলিটিজ অর্থাৎ ট্রিটমেন্ট, স্টোরেজ অ্যান্ড ডিসপোজাল ফ্যাসিলিটি স্থাপনের বাংলাদেশের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে আমরা শিগগির সম্ভাব্যতা যাচাই করে তা বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করবো। সাক্ষাৎকালে শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো.শহীদুল হক ভূঁঞা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো.আব্দুল ওয়াহেদ, উপসচিব শরীফ মো. মাসুদ ও জাপান দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রথম সচিব হারুতা হিরোকি উপস্থিত ছিলেন।ৃ


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]