নিজের আয়ের অর্থ ডলারে খরচ করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সাররা


ইব্রাহিম হোসেন সম্রাট: , আপডেট করা হয়েছে : 06-02-2023

নিজের আয়ের অর্থ ডলারে খরচ করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সাররা

রপ্তানিকারকদের মতো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ফ্রিল্যান্সার, কোম্পানি ও অন্যদেরও রপ্তানি প্রত্যাবাসন কোটা (ইআরকিউ) সুবিধা চালুর সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এসব নাগরিক ও কোম্পানির বিপরীতে আন্তর্জাতিক ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ইস্যু এবং তা দিয়ে অনলাইনে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে দেশে বসে বিদেশি মুদ্রা অর্জনকারী নাগরিক ও কোম্পানিগুলো তাদের আয় করা ডলারের একটি অংশ নিজেদের ইআরকিউ হিসাবে জমা রাখতে পারবেন। পাশাপাশি আয় করা ডলার কার্ডের মাধ্যমে খরচ করতে পারবেন।

এতে ফ্রিল্যান্সারদের ভোগান্তি কমবে, বাড়বে সুবিধা। এর ফলে বৈধ পথে ডলার আয় বাড়বে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল রোববার এক প্রজ্ঞাপনে এ সুবিধার কথা জানায়। প্রজ্ঞাপনে দেশের ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন ফ্রিল্যান্সাররা তাদের আয়ের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত দেশে প্রত্যাবাসন না করে নিজের হিসাবে রাখতে পারেন। নতুন সুবিধার ফলে এ আয় দিয়ে তাঁরা নিজেদের খরচ মেটাতে পারবেন।


আরও পড়ুন: ফ্রিল্যান্সারদের রপ্তানিকারক রিটেনশন ‘কোটা সুবিধা’ দেওয়ার নির্দেশ

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আইসিটি খাতে নানা রকম ব্যয় বিদেশে পাঠাতে হয়। কিন্তু ফ্রিল্যান্সারদের নামে ইআরকিউ হিসাব না থাকায় কার্ড–সুবিধার আওতায় তাঁরা বিদেশি খরচ মেটানোর ক্ষেত্রে নিজের আয় করা ডলার ব্যবহার করতে পারেন না। তা ছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত ফ্রিল্যান্সারদের এলাকায় ব্যাংকের এডি শাখা না থাকায় ডলার খরচের মতো কার্ডও তাঁরা পাচ্ছেন না। ব্যাংকের এডি শাখা হলো বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অনুমোদিত শাখা। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশ দিয়েছে, যেসব ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রায় অনুমোদিত ডিলার বা এডি শাখা নেই, সেসব ব্যাংকের মাধ্যমে আয় প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে নিকটবর্তী এডি শাখা বা প্রধান কার্যালয়ের সহায়তায় ইআরকিউ হিসাব খোলা ও কার্ড দিতে হবে। বিকাশ, রকেটের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আয় প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে লেনদেন সমন্বয় করা ব্যাংককে ইআরকিউ হিসাব খোলাসহ আন্তর্জাতিক কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশে গত বছরের এপ্রিল থেকে ডলারের সংকট চলছে। ফলে প্রতি ডলারের দাম ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০৭ টাকা হয়েছে। এখন কার্ডে যে ডলার খরচ করা হয়, ব্যাংকগুলো তাতে প্রতি ডলারে দাম ধরছে ১০৭ টাকা। আর রপ্তানি আয় নগদায়ন করা হচ্ছে ১০৩ টাকা দামে। আমদানিতে প্রতি ডলারের জন্য দাম ধরা হচ্ছে ১০৫ টাকার বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়াসহ কয়েকটি ব্যাংকে এই ধরনের সুযোগ রয়েছে। সব ব্যাংক এ সুযোগ দিলে ফ্রিল্যান্সাররা বৈধ পথে আয় আনায় আগ্রহী হবে। ডলার–সংকট নিরসনে যা কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]