‘প্রেমিক নিয়ে’ ৪ তরুণীর মারামারি, ভিডিও ভাইরাল


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 12-02-2023

‘প্রেমিক নিয়ে’ ৪ তরুণীর মারামারি, ভিডিও ভাইরাল

বোরকাপরা দুই তরুণী আর শাড়িপরা দুই তরুণী। বোরকাপরা তরুণীরা শাড়িপরা তরুণীদের মারপিট করছেন। শাড়িপরা এক তরুণী সড়কের ওপর পড়ে গেলে বোরকাপরা তরুণী তার বুকের ওপড় বসে পড়েন। বোরকাপরা তরুণী শাড়িপড়া তরুণীর চুল মুষ্টিতে ধরে টানাহেঁচড়া করছেন। তাদের মারপিটের দৃশ্য কয়েকজন তরুণ মুঠোফোনে ধারণ করছিলেন। এ সময় এক তরুণকে ‘আমি আগে ছাড়ব’ বলে কথা বলতে শোনা যায়। পথচারীরা তাদের নিবৃত্ত করেন।

জয়পুরহাট সরকারি কলেজের সামনে বারোঘাটি পুকুর এলাকায় চার তরুণীর মারামারির ১ মিনিট ৩  সেকেন্ডের একটি ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়েছে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মারপিটের এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক তরুণের সঙ্গে দুই তরুণী গোপনে প্রেম করছিলেন। এ ঘটনাটি তাদের নিজেদের মধ্যে জানাজানি হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। তারা নিজেরাই সমঝোতার উদ্যোগ নেন। দুই প্রেমিকার একজন শাড়ি আরেক জন বোরকা পরে তাদের সহপাঠী আরও দুজনকে সাথে নিয়ে শনিবার বিকেলে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের সামনে বারোঘাটি পুকুর এলাকায় আসেন। তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। হঠাৎ করে শাড়িপরা দুই তরুণী ও বোরকাপরা দুই তরুণীর মধ্যে তুমুল মারামারি শুরু হয়। তখন কয়েকজন তরুণ তাদের মারামারি দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও করছিলেন। পরে তারা তাদেরকে থামান। 

নোমান মৃধা নামে এক তরুণ বলেন, আমরা বন্ধুরা বারোঘাটি পুকুরপাড়ে বসে ছিলাম। হঠাৎ দেখি চারজন মেয়ে মারামারি করছে। আমরা অনেকেই ভিডিও ধারণ করি। তবে তারা কেন মারামারি করেছে তা জানা যায়নি।

রাতুল নামে এক তরুণ বলেন, আমি কলেজ থেকে বের হয়ে দেখি সেখানে মারামারি চলছে। পরে সেখানে একজন নারী তাদের বাধা দিতে গেলে উনাকে এক মেয়ে অশ্লীল ভাষায় গালি দেন। তাদের মারামারি শেষে ওই তরুণীরা সেখান দ্রুত সটকে পড়েন। আমরা যতদূর জেনেছি, এক তরুণের সঙ্গে দুই তরুণীর প্রেমের সর্ম্পক নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় মারামারির সাথে জড়িত এক তরুণীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করে কেটে দেন।

রনি হাসান নামে এক তরুণ বলেন, সেখানে শুনতে পেলাম এক তরুণী বলছে- এটা আমার বয়ফ্রেন্ড, আরেকজন বলতেছে- না আমার বয়ফ্রেন্ড। এনিয়েই মারামারি। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে এটি সামাজিক অবক্ষয়। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের অভিভাবক ও সমাজের সকল শ্রেণির মানুষদের সচেতন হতে হবে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]