শহীদ ড. জোহার ৫৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাবি’র বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ


রাবি প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 18-02-2022

শহীদ ড. জোহার ৫৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাবি’র বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ

আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী, শহীদ ড. জোহা দিবস। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের এই দিনেই পাকিস্তানী সেনাদের হাতে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন শহীদ ড. শামসুজ্জোহা।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শহীদ জোহার ৫৩তম শাহাদাতবার্ষিকী পালনের উদ্দেশ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।

১৯৬৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে গ্রেফতারের আদেশ জারি করে। যাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবে অভিয়িত করা হচ্ছে। পাকিস্তান সরকারের এমন সিদ্ধান্তে পুরো দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলন আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে ১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী আগরতলা মামলার ১৭ নাম্বার আসামি ও গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মহানায়ক সার্জেন্ট জহুরুল হককে গুলি করে হত্যা করা হলে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এর ব্যাতিক্রম ঘটেনি।

১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী আগরতলা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এবং জহরুন হক হত্যার প্রতিবাদে পাকিস্তান সরকারের দেওয়া ১৪৪ ধারা ভেঙে সকালে রাস্তায় নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকের কাছাকাছি অবস্থান নেয়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পাকিস্তানি সেনারা মিছিলে গুলি করতে উদ্ধৃত হয়। এই খবর তৎকালীন রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. সৈয়দ মুহম্মদ শামসুজ্জোহার কানে গেলে তিনি তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং শিক্ষার্থীদের সামনে দাঁড়ান। নিষেধ করেন সেনাদের গুলি চালাতে।

তিনি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস প্রদানও করেন। কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে ক্যাপ্টেন হাদী পিস্তল বের করে ড. জোহাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পরে রাজশাহী মিউনিসিপল অফিসে নিয়ে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করা হয়।

ড. জোহার রক্ত ঝরার মধ্য দিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন আরো চরম আকার ধারণ করেছিলো। পতন ঘটেছিল সামারিক জান্তা আইয়ুব খানের। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় ড. জোহাকে।

উল্লেখ্য, ড. জোহার শাহাদতের দিনটিকে দীর্ঘদিন ধরে ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু দীর্ঘ ৫৩ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। দিবসটি শুধুমাত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবস’ বা ‘জোহা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।

রাজশাহীর সময় /এএইচ


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]