তুরস্কে বন্যায় প্লাবিত দুই শহর, নিহত ১৪


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 16-03-2023

তুরস্কে বন্যায় প্লাবিত দুই শহর, নিহত ১৪

তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষত না শুকাতেই বিধ্বস্ত এলাকায় মারাত্মক বন্যা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আকস্মিক বন্যায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অসংখ্য বাড়িঘর, হাসপাতাল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। ভূমিকম্পে জীবিতদের আশ্রয়কেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা। এর মধ্যে সানলিউরফা শহরে ১২ জন এবং আদিমানে ২ জন মারা গেছেন।

অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থা আফাদ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আদিয়ামান প্রদেশে ১৩৬ মিলিমিটার ও সানলিউরফাতে ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা গত দুই বছরে বৃষ্টিপাতের এক তৃতীয়াংশ।

সানলিউরফার গভর্নর সালিহ আয়হান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির নিচতলা এবং বেসমেন্ট খালি করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সানলিউরফার নাগরিকেরা এমন বন্যা আগে কখনো দেখেনি।

তুরস্কের আবহাওয়া দফতরের (টিএসএমএস) পূর্বাভাসে ১৪ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের জন্য অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সম্ভাব্য অতিবর্ষণে দুর্ভোগের আশঙ্কা থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে আদিয়ামান, দিয়ারবাকির, এলাজিগ, মালত্য, কাহরামানমারাস, মারদিন, সিভাস, সানলিউরফা ও কিলিস প্রদেশ। গত মাসের ভূমিকম্পে এই এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে প্রলয়ংকরি ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চল এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। রিখটার স্কেলে সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পে পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দেশ দুটির বিশাল এলাকা। এতে প্রাণ হারান ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ। শুধু তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছে ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। ভূমিকম্প আঘাত হানার ৪০ দিন পর সেখানে বন্যায় প্রাণহানি ঘটনা ঘটল।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]