মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তির অনিশ্চয়তায় থাকা রিকশা চালকের ছেলে চান মিঞার দায়িত্ব নিলেন রাসিক মেয়র


আবু হেনা , আপডেট করা হয়েছে : 17-03-2023

মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তির অনিশ্চয়তায় থাকা রিকশা চালকের ছেলে চান মিঞার দায়িত্ব নিলেন রাসিক মেয়র

বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রিকশা চালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে অদম্য মেধাবী চান মিঞার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনার খরচ সহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

রাজশাহী মহানগরীর ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা রিকশা চালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে চান মিঞা। হতদরিদ্র পরিবারের চান মিঞা বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তবে চান্স পেলেও অর্থের অভাবে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে সে। এ নিয়ে ১৬ মার্চ একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক রাসিক মেয়র মহোদয় তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে মেধাবী শিক্ষার্থী চান মিঞার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন। মেয়রের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে চান মিঞার বাড়িতে যান ও রাসিক মেয়র মহোদয় ব্যক্তিগত উদ্যোগে অদম্য মেধাবী চান মিঞার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনাসহ সকল খরচ ব্যয় করবেন বলে জানান। এরপরই হাসি ফোটে মেধাবী চান মিঞা ও তার রিকশা চালক বাবা জাহিদুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যদের মুখে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে নগরপিতাকে পাশে পেয়ে কৃতজ্ঞ চান মিঞার পরিবার।

চান মিঞার পিতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য লাগবে ২৫ হাজার টাকা। ভর্তির পর বইসহ আনুসাঙ্গিক খরচে প্রয়োজন আরো এক লাখ টাকা। রিকশা চালিয়ে আমার পক্ষে ছেলের ভর্তির জন্য এতোগুলো টাকা জোগার করা কখনোই সম্ভব না। ছেলে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। এই দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাচ্ছিলাম না। ঠিক সেই মুহুর্তে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আমরা মেয়র মহোদয়ের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

চান মিঞার মাতা শিরিনা বেগম বলেন, মেয়র মহোদয় যদি আমার সন্তানের পাশে না এসে দাঁড়াতেন তাহলে হয়তো ছেলেকে পড়ালেখা করানো সম্ভব হতো না। আমরা মেয়র মহোদয়ের দীর্ঘায়ু ও সুস্থ্যতা কামনা করি।

এ ব্যাপারে মেধাবী চান মিঞা বলেন, অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করে আজকে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। মেডিকেল চান্স পাওয়ার পর আমি ও আমার পরিবার অনেক খুঁশি হই। কিন্তু ভর্তি ও পড়ালেখার খরচের অর্থ সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়ি। আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আমার বিশ্বাস ছিল, যদি সংবাদটি মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান স্যার দেখেন, তাহলে তিনি অবশ্যই আমার জন্য কিছু করবেন। মেয়র স্যার আমার ভর্তি সহ পড়ালেখার খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি ও আমার পরিবার দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছি। মেয়র স্যারের প্রতি আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।

উল্লেখ্য, অদম্য মেধাবী চান মিঞা ২০১৯ সালে ডাঁশমারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসতিতে জিপিএ-৫ এবং ২০২১ শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]