শীতে শিশুর সুস্থতায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন


ফারহানা জেরিন এলমা , আপডেট করা হয়েছে : 23-02-2022

শীতে শিশুর সুস্থতায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

শীতকালে বাড়িতে শিশু থাকলে তার স্বাস্থ্যের দিকে একটু বেশি নজর দিতেই হয়। সে তো নানা কিছু খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে বায়না ধরবেই। যতই পুষ্টিকর হোক না কেন, তেমন সুস্বাদু মনে না খাবার খেতে চাইবে না। কিন্তু শীতের সময় শিশুরা এমন খাবার খেতে চায় যার ফলে গলা ব্যাতা,জ্বর,নিউমোনিয়া,পেটে ব্যাথা, কানে ব্যাথা,অ্যাজমা দেখা দেয়।

তাই শীতকালে শিশুকে খাবার দেওয়ার বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।

ফ্রোজেন মাংস: অনেক শিশুই সবজি খেতে পছন্দ করে না। তাদের মূল আকর্ষণ থাকে মাংসের প্রতি। এ ক্ষেত্রে বাজারে যে সব ফ্রোজেন মাংস পাওয়া যায়, মানে প্যাকেটজাত, তা কখনই কেনা উচিত নয়। কেন না তা শরীরে মিউকাস উত্‍পাদন বাড়িয়ে গলায় ইনফেকশনের সম্ভাবনা ডেকে আনে। তাই মাছ বা ফ্রেশ মাংস শিশুকে খাওয়াতে হবে।

দুগ্ধজাত খাবার: চিজ আর ক্রিম এই দুই দুগ্ধজাত ঠিকই, কিন্তু কোনও একটা মাত্রায় গিয়ে অপুষ্টিকরও বটে। কেন না তা শরীরে লালা এবং মিউকাসের ঘনত্ব বাড়িয়ে দিয়ে শিশুদের খাবার গলাঃধকরণের প্রক্রিয়াটিকে দুরূহ করে তোলে। তাই এই দুইয়ের মাত্রা শিশুর শীতকালীন খাবারের তালিকায় কম রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

মেয়োনিজ: বেশিরভাগ ফাস্টফুডে এখন মেয়োনিজ দেওয়া হয়। এতে থাকে হিস্টামিন। এই হিস্টামিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খেলেও শরীরে মিউকাসের পরিমাণ বাড়ে এবং থ্রোট ইনফেকশনের সম্ভাবনা দেখা দেয়। পারলে এটি একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত্‍।

বাইরের খাবার: বাইরের ভাজাভুজি যত ভালো দোকান থেকেই কেনা হোক না কেন, বাইরের আমিষ ভাজাভুজির ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডও শরীরে লালা আর মিউকাসের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ইচ্ছে হলে বাড়িতে সাদা তেলে ভাজা কিছু মাঝে মধ্যে খাওয়ানো যায় শিশুকে।

চকলেট: একটু আধটু চকলেটে কোন দোষ নেই। কিন্তু লজেন্স কখনই নয়। অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি শরীরের শ্বেতরক্তকণিকা কমিয়ে ইমিউনিটি সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়। পাশাপাশি কোল্ড ড্রিঙ্কস আর হাই রিফাইনড ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালও না দেওয়াই উচিত্‍ হবে।

রাজশাহীর সময় /এএইচ


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]