তাহিরপুর সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি চোরাচালান: ১ টন কয়লা জব্দ


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 05-06-2023

তাহিরপুর সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি চোরাচালান: ১ টন কয়লা জব্দ

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মামলার আসামীরা। তারা নিজেকে পুলিশ ও সাংবাদিকের সোর্স পরিচয় দিয়ে, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা পাচাঁরের পাশাপাশি মদ, গাঁজা, পাথর, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, গরু, ছাগল, কাঠ, পান-সুপারী ও চিনিসহ শাড়ী-কাপড় পাচাঁর করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৫ মে) ভোর রাতে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা, লালঘাট, লাকমা, বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন, টেকেরঘাট সীমান্তে চুনাপাথর খনিপ্রকল্প, বরুঙ্গাছড়া, রজনীলাইন, চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারোছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া, বারেকটিলা ও লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা, পাথর, নাসিরউদ্দিন ও মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করে। পরে পাচাঁরকৃত মালামালের মধ্যে কয়লা বালিয়াঘাট ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত পাটলাই নদী ও লাউড়গড় ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত যাদুকাটা নদীতে নৌকা বোঝাই করে নদীপথে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। আর পাথর পাচাঁর করে প্রকাশ্যে মজুত করা হচ্ছে লাউড়গড় ক্যাম্পের আশেপাশে এবং ৩০টি অবৈধ পাথর ভাংগার মিলে। এব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করলে লাখলাখ টাকা মূল্যের অবৈধ পাথর জব্দ করা সম্ভব হতো। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না।

তবে এরআগে রাত ১টায় একাধিক মামলার আসামী লালঘাট গ্রামের বিশিষ্ট চোরাকারবারী খোকন মিয়া ও তার সহযোগীরা ৫টি বারকি নৌকা দিয়ে ওই গ্রামের বড় মসজিদ ও একই গ্রামের চোরাকারবারী ইয়াবা কালাম মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে কয়লা বোঝাই করে চুনখলার হাওরের নালা দিয়ে বোরাঘাট ও বৈঠাখালী বাঁধে নিয়ে যাওয়ার সময় চারাগাঁও ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে। ঐসময় চোরাকারবারী খোকন মিয়া ও তার সহযোগীরা অবৈধ কয়লা পানিতে ফেলে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পানি থেকে ৩০ বস্তা (১ মেঃটন) কয়লা উদ্ধার করে বিজিবি। কিন্তু চোরাকারবারীদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।    

আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহতের অভিযোগ

তার আগে চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি এলাকায় বিজিবি অভিযান চালিয়ে ২৩বস্তা সুপারী আটক করার ঘটনায় গত ১১ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বিজিবির বিরুদ্ধে স্থানীয় চোরাকারবারীরা মানববন্ধন করায় থানায় মামলা দেওয়া হয়। এরপর টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া এলাকায় সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর বিজিবির তৎপরতা বৃদ্ধি পেলে সীমান্ত চোরাচালান কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ যাবত চারাগাঁও, দুধেরআউটা, বড়ছড়া, লাকমা, লালঘাট ও কামড়াবন্দ গ্রামের কয়লা ও মাদক মামলার আসামীরা সিন্ডিকেডের মাধ্যমে আবারো তাদের চোরাচালান বাণিজ্য শুরু করেছে বলে জানা গেছে।     

এব্যাপারে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার খাদেমুল হক বলেন- আমার সীমান্ত এলাকার চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্য এলাকার বিষয়ে কিছু বলার নাই। তবে সীমান্ত চোরাকারবারীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।



Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]