একদিনেই ভেঙে গেল বিশ্ব ইতিহাসের ‘সবচেয়ে উষ্ণতম দিনের’ রেকর্ড


অনলাইন ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 06-07-2023

একদিনেই ভেঙে গেল বিশ্ব ইতিহাসের ‘সবচেয়ে উষ্ণতম দিনের’ রেকর্ড

মাত্র একদিন আগেই ইতিহাসে ‘সবচেয়ে উষ্ণতম দিন’ দেখেছে বিশ্ব। একদিন যেতে না যেতেই আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে গেছে। সোমবার (৩ জুলাই) বিশ্বের গড় তাপমাত্রা যা ছিল তার চেয়ে দশমিক ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে মঙ্গলবারের (৪ জুলাই) গড় তাপমাত্রা।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট প্রেডিকশনের (এনসিইপি) বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 
সোমবার (৩ জুলাই) বিশ্বের গড় ছিল তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে তাপমাত্রার পারদ উঠে ১৭ দশমিক ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলতি সপ্তাহে নতুন এই গড় তাপমাত্রা রেকর্ডের আগে বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয় গরম দিন দেখা গেছে ২০১৬ সালে। এল নিনোর প্রভাবে সে বছর বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উষ্ণ বছর ছিল।
 
এদিকে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এল নিনো আবারও ফিরে এসেছে। এল নিনো হলো প্রশান্ত মহাসাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের একটি প্রাকৃতিক জলবায়ু প্যাটার্ন, যা সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়িয়ে দেয় এবং এর ফলে বিশ্বজুড়ে আবহাওয়া অনেকটাই বদলে যায়।
 
এল নিনোর প্রভাবে আগামী দিনে বিশ্বের তাপমাত্রা আরও বাড়বে। এতটাই বাড়বে যে, নতুন রেকর্ডও গড়তে পারে। তাই প্রতিটি দেশকে এমন চরম আবহাওয়া মোকাবিলায় অগ্রিম প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা।
 
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মহাসচিব পেটেরি তালাস বলেছেন, ‘এল নিনোর সূচনা তাপমাত্রার অতীত রেকর্ড ভঙ্গ করার এবং বিশ্বের অনেক অংশে এবং মহাসাগরে আরও চরম তাপমাত্রা সৃষ্টির সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলবে।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই ঘোষণা আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের বাস্তুতন্ত্র এবং আমাদের অর্থনীতিতে এল নিনোর প্রভাব কমিয়ে আনতে প্রস্তুতি নিতে হবে। এটি বিশ্বের সরকারগুলোর জন্য একটি পূর্বসংকেত। জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে হলে সরকারকে অবশ্যই আগাম সতর্কতা নিতে হবে এবং এই বছর আরও আবহাওয়া সংক্রান্ত বিপর্যয়কর ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’  
 
বিগত কয়েক বছর ছিল এল নিনোর প্রস্তুতি পর্যায়। এ পর্যায়কে বলা হয় লা নিনা। লা নিনার সময় সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা তুলনামূলক ঠান্ডা থাকে। তারপরও এ পর্যায়েই চলতি বছর যে পরিমাণ গরম পড়েছিল সে পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও বাড়বে।

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]