বন্ধুর মেয়ে কিশোরীকে দিনের পর দিন ‘ধর্ষণ !


সুমাইয়া তাবাস্সুম: , আপডেট করা হয়েছে : 21-08-2023

বন্ধুর মেয়ে কিশোরীকে দিনের পর দিন ‘ধর্ষণ !

বন্ধু’র মারা গেছে। তাই তার মেয়েকে লালন পালন করার জন্য় নিজ বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন দিল্লির এক ডেপুটি ডিরেক্টর। সেই মেয়েকেই তিনি দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই আধিকারিককে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। সেই সঙ্গে ওই আধিকারির স্ত্রী’কে ও আটক করা হয়েছে। কারণ তিনি ওই নাবালিকাকে মাঝেমধ্য়েই জন্মনিরোধক পিল খাওয়াতেন। 

এদিকে ওই আধিকারিককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপরই ওই আধিকারিককে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে POCSO আইনে মামলা করা হয়েছে।

ডিসিপি নর্থ ডিস্ট্রিক্ট সাগর সিং কালসি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ডেপুটি ডিরেক্টর ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। 

সূত্রের খবর, ২০২০ সালে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছিল। তিনিও দিল্লির আধিকারিক ছিলেন। এরপরই ওই মেয়েটিকে দেখাশোনা করবেন বলে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত ডেপুটি ডিরেক্টর। তিনি নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরে কর্মরত ছিলেন।

মেয়েটির মা দিল্লি সরকারের একজন আধিকারিক। একটি মন্দিরে মেয়েটিকে দেখেছিলেন ওই ব্যক্তি। এরপরই তিনি মেয়েটিকে বাড়িতে আনতে চান।

ধর্ষিতা নাবালিকা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সে ২০২০ সালে তার বাবাকে হারায়। এরপর ওই আধিকারিক তাকে লালন পালন করার জন্য নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর থেকে শুরু হয় যৌন অত্যাচার। ২০২০- ২০২১ সালের মধ্য়ে ওই ব্যক্তি একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

ওই নাবালিকার অভিযোগ, একটা সময় সে গর্ভবতী হয়ে গিয়েছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বিষয়টি জানান। এরপর ছেলের সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে গর্ভপাত করানো হয়।

এদিকে, ওই ব্যক্তির স্ত্রী’ও বিষয়টি জানতেন। এমনকী তিনি বাধা দেওয়া তো দূরের কথা তিনি রীতিমতো সহায়তা করতেন। এরপরই ওই ব্যক্তির স্ত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়।

পরে মেয়েটি কেমন আছে সেটা দেখতে যান তার মা। তখন মেয়েটি শরীর খারাপের কথা বলে ওই বাড়ি থেকে চলে আসতে চান। পরে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল আবার। এরপর কাউন্সেলিং করার পরে সে তার জীবনের সব কথা খুলে বলে।

ঘটনার খবর পেয়ে দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল হাসপাতালে অসুস্থ মেয়েটিকে দেখতে যান। তিনি জানিয়েছিলেন অবিলম্বে ওই আধিকারিককে গ্রেফতার করতে হবে। প্রসঙ্গত অভিযুক্ত ২০১১ সালে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের প্রেসিডেন্টও ছিলেন। 


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]