শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকালে সদর হাসপাতালের ডাস্টবিন থেকে ওই কন্যা শিশুকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে শিশুটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছে।
সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স কারমিলা মুরমু বলেন, ‘শুক্রবার সকালে সদর হাসপাতালের পশ্চিম পাশের ডাস্টবিনে আবর্জনা সরাতে গিয়ে পৌরসভার ২ পরিচ্ছন্ন কর্মী পলিথিনে মোড়ানো শিশুটি দেখতে পায়। প্রথমে পৌরসভায় জানাতে চাইলেও পরে এক সেবিকার মাধ্যমে শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসা দেয়ার পর ভর্তি করা হয় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। আমরা শিশুটিকে স্যালাইন, ঔষধসহ যা যা প্রয়োজন দিয়েছি। এখন বাচ্চাটি সুস্থ আছে।’
নাজমা খাতুন নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘এত সুন্দর মিষ্টি মেয়ে। দেখলে মায়া লাগে। সুন্দর ফর্সা একটা মেয়ে শিশু। খুব সুন্দর। যে বাচ্চাটা ফেলে রেখে গেছে সে কাজটা ভালো করেনি। মেয়েটির জন্য দোয়া করি। সে যেন সুস্থ থাকে ভালা থাকে।’
সুলতানা খাতুন নামে এক স্বজন বলেন, ‘ফুটফুটে একটা মেয়ে শিশুকে ফেলে রেখে গেছে। যাই হোক আল্লাহর রহমতে ভালো আছে শিশুটি। শিশুটিকে নেয়ার জন্য অনেকে আবেদন করেছে। আমার একটা ছেলে আছে। মেয়েটি আমাকে দিলে আমি নিব। আমার মত অনেকেই বাচ্চাটি নিতে আবেদন করেছে।’
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আফিয়া সুলতানা বলেন, ‘সকাল ৯ টার দিকে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে আনার পর সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শিশুটি যখন এসেছিলো তখন একটু অসুস্থ ছিল। এখন মোটামুটি ভালো আছে। শিশুটি এখন আমাদের তত্বাবধানে আছে। আইন অনুযায়ী দত্তক দেয়া হবে।’