চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার যুবতীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, আটক স্বামী


সুমাইয়া তাবাস্সুম: , আপডেট করা হয়েছে : 29-08-2023

চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার যুবতীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, আটক স্বামী

ডোমজুড় থানার ঝালুয়াবেড় এলাকায় নির্জন রাস্তা থেকে নাম অনুশ্রী হাজরা নামের এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার হাওড়া ডোমজুড়ে যুবতীকে খুনের ঘটনায় তাঁর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় যুবতীর পরিবার থানায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে যুবতীর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। যুবতীর স্বামীর নাম চন্দন মাঝি। জানা গেছে, স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে বনিবনা ছিল না। প্রায়ই যা তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হত। এ ঘটনায় চন্দনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চোখ বাঁধা অবস্থায় মুখ থুবড়ে রাস্তায় পড়েছিল অনুশ্রীর দেহ। তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। খবর পেয়ে রবিবার রাতে ডোমজুড় থানার পুলিশ যুবতীর দেহ উদ্ধার করে। তার ঠিক পাশেই একটি ব্যাগ পড়েছিল। সেই ব্যাগ থেকে অনুশ্রীর পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। এরপর মৃতার পরিবারের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করে। সেই ঘটনায় অনুশ্রীর পরিবার তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলেন। তারপর সোমবার তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দন মাঝিকে আটক করে পুলিশ। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ছিল। দেড় বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু তার পরেই তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও চলছিল। বিয়ের পর থেকেই অনুশ্রীর সঙ্গে চন্দন এবং তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের মধ্যে মন কষাকষি শুরু হয়। পরিবারের অভিযোগ, অনুশ্রী নাচতে ভালোবাসতেন। সে কথা তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা আগে থেকেই জানতেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাতে আপত্তি জানাতে শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকী এ নিয়ে তাঁকে মারধরও করা হয়। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সইতে না পেরে ৬ মাস আগেই বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন অনুশ্রী। তিনি একটি ওষুধ সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন। পাশাপাশি বাচ্চাদের নাচ শেখাতেন।

রবিবার রাতে তিনি বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন। পরে রাত ৮টা নাগাদ সাইকেলে করেই বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার আগে তাঁর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কথা হয়। কিন্তু, আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরে পুলিশ ওই এলাকার একটি নির্জন রাস্তা থেকে অনুশ্রীর দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল চন্দন। তাই নিয়ে বচসার জেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ডোমজুড় থানার পুলিশ।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]