এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য হচ্ছে পৃথক আচরণ বিধিমালা


অনলাইন ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 30-08-2023

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য হচ্ছে পৃথক আচরণ বিধিমালা

 মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য পৃথক আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার।

এই আচরণ বিধিমালার খসড়া প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামী বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছাড়াও সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক, রাজধানীর ডেমরার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে সভায় ডাকা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য আলাদা আচরণ বিধিমালা নেই। ফলে শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কারণে তাদের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা যায় না।

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর আলোকে শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কারণে শাস্তি নিশ্চিত করা যায়। কিন্তু এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীরা শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত অপরাধ করলে তাদের সুনির্দিষ্ট বিধিমালায় শাস্তি দেওয়া যায় না। এজন্য তাদের জন্য আলাদা করে বিধিমালা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি ক্লাস ফেলে জাতীয়করণ নিয়ে আন্দোলনে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের বার বার সতর্ক করা হলেও শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে।

এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য আচরণ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্যও বিধিমালা করা দরকার। বেসরকারি শিক্ষকদের কেউ কেউ শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন করে থাকেন। অনেক শিক্ষক কোচিং বাণিজ্য করেন। বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থীরা জিম্মি হয়ে পড়ে। ফলে তাদের লাগাম টেনে ধরতে বিধিমালা করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, শুধু বিধিমালা করলেই হবে না। সেটি নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। তবেই এর ফল পাওয়া যাবে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]