নারীকে গণধর্ষণের পর খুন

বাংলা–বিহার সীমান্তবর্তী এলাকার কুশিদা অঞ্চলেরে একটি ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের মুখপোড়া মহিলার (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুর্গাপুজো রবিবার সকালে এ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার নসরপুর–চোচপাড়া পুলবাঁধ এলাকা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। অ্যাসিড ও লঙ্কার মরিচ দিয়ে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারনা। খবর পেয়ে পুলিশ মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা, গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে মাঠে চাষ করতে পৌঁছতেই এমন ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান কয়েকজন কৃষক। আর তা দেখেই গ্রামের অন্যান্যদের খবর দেওয়া হয়। সেখানে অনেকে জড়ো হন। ওই মহিলার দেহে একাধিক চাকু দিয়ে কোপানোর দাগ রয়েছে। তবে পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। বয়স বছর হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে সন্দেহের বিষয় হল, ঘটনাস্থলের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল অ্যাসিড, চাকু, ব্যবহৃত কন্ডোম এবং পোড়া কাপড়–সহ অন্যান্য জিনিস। তখন খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশও এই দৃশ্য দেখেই তাদের প্রাথমিক অনুমান গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।

মুখ অ্যাসিড দিয়ে বিকৃত করে দেওয়ায় চিনতে পারা যাচ্ছে না। ব্যবহৃত কন্ডোম দেখে মনে করা হচ্ছে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তবে এই মহিলা অবিবাহিত বলেই জানতে পেরেছে  পুলিশ। মেরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ইতিমধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।